কক্সবাজারের খুরুশকুলে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বনবিভাগের কর্মকর্তাদের উপর হামলা চালিয়েছে পাহাড়খেকোরা। এ সময় বনবিভাগের হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় দুর্ধর্ষ পাহাড়খেকো শহীদুল্লাহকে।
খুরুশকুল পূর্ব হামজার ডেইল আদর্শগ্রামে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত হয়েছেন ফরেস্ট গার্ড (এফজি) তাপস দাশ।
খুরুশকুল ফরেস্টার সুলতান মাহমুদ জানান, পাহাড় কাটার খবর পেয়ে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মাহবুবুল ইসলাম ও ফরেস্টার সুলতান মাহমুদের নেতৃত্বে একটি যৌথ দল অভিযানে যায়। অভিযানে পাহাড়কাটা অবস্থায় ছৈয়দ হোছেনের পুত্র শহিল্লাহকে আটক করা হয়। তাকে আটকের খবর পেয়ে তার সহযোগীরা কুড়াল ও খন্তা নিয়ে অভিযান দলের উপর হামলে পড়ে। এ সময় তারা হেফাজতে থাকা শহীদুল্লাহকেও নিয়ে যায়। খন্তার আঘাতে আহত হয় এফজি তাপস দাশ।
কক্সবাজার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার শাহরিয়ার মোক্তার বলেন, ‘ওই হামলার খবর পাওয়ার পর অভিযানে নেমেছে পুলিশ। হামলাকারীদের ধরতে অভিযান চলছে এবং এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘পাহাড় কাটায় ইতিমধ্যে এনভায়রনমেন্ট পিপলের শোভাযাত্রা করার পরই কঠিন অভিযানের ঘোষণা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুরে পরিবেশ ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা অভিযানে যান। সেখানেই আসামী ছিনতাই হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হবে।’
বনবিভাগের কর্মকর্তারা চট্টগ্রামের প্রতিদিনকে জানান, খুরুশকুল এলাকায় চিহ্নিত পাহাড়খেকো শহীদুল্লাহ। কক্সবাজার সদর থানাসহ বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক বন মামলা রয়েছে।
অভিযানে অংশ নেওয়া বনবিভাগের সদস্যরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে খুরুশকুল এলাকায় পাহাড়ের বিভিন্ন অংশ দখল করে বাড়িঘর নির্মাণের পাঁয়তারা করছিল শহীদুল্লাহ। ইতিমধ্যে দখলে নিয়েছে খুরুশকুল এলাকায় পাহাড়টির পশ্চিমের অংশ। দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কেটে নিয়ে সেখানে মাটি-বালু বিক্রিসহ পাহাড়ের বিভিন্ন অংশে ঘরবাড়ি বানানো হচ্ছে।
প্রসংগত, খুরুশকুল এলাকায় পাহাড়ের ১১টি পয়েন্টে ব্যপকহারে পাহাড় কাটা হচ্ছে। এছাড়াও ঈদগাঁও চন্দ্রঘোনা, উখিয়া, টেকনাফসহ বিভিন্ন অঞ্চলে পাহাড় ও পাহাড়ি গাছপালা কেটে উজাড় করছে বনখেকোরা।
এএ/এসএস