মহামারী করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল বন্ধ রেখেছিল বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। জুনের প্রথম সপ্তাহের শেষের দিকে এসে অভ্যন্তরীণ রুটে আবার ফ্লাইট চলাচল শুরু করা হয়। কিন্তু করোনা শঙ্কার ফলে যাত্রী সংখ্যা কমে যাওয়ায় অধিকাংশ ফ্লাইটই বাতিল করা হয়। তবে আসন্ন ঈদুল আজহায় বাড়তে পারে যাত্রী, এমন আশায় কক্সবাজারসহ দেশের আরও দুটি বিমানবন্দর চালু করার প্রস্তুতি চলছে। অন্য দুটি বিমানবন্দর হচ্ছে বরিশাল ও রাজশাহী।
বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বুধবার গণমাধ্যমকে বলেন, দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলছে। এ কারণে মানুষের মধ্যে শঙ্কা কাজ করছে। একেবারে প্রয়োজন ছাড়া ফ্লাইটে ভ্রমণ করছে না। তারপরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কারণে কিছু যাত্রী আসছেন। যাত্রীদের আস্থা আসতে আরও সময় লাগবে। আসন্ন কোরবানির ঈদে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে বাড়বে যাত্রীদের যাতায়েত। এ কারণে এই ঈদের আগেই দেশের আরও তিনটি বরিশাল, রাজশাহী ও কক্সবাজার বিমানবন্দর চালু করার প্রস্তুতি চলছে।
জানা গেছে, করোনা মহামারি ঠেকাতে গত ২১ মার্চ থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেয় বেবিচক। তবে গত ১ জুন ঢাকা থেকে সৈয়দপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেট রুটে সীমিত পরিসরে ৭৫ শতাংশ যাত্রী নেওয়ার শর্তে ফ্লাইট চলাচলে অনুমতি দেওয়া হয়।
বেবিচক সূতে জানা যায়, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স , বেসরকারী ইউএস বাংলা, ও নভো এয়ারকে আসা-যাওয়া মিলিয়ে ৪৮টি ফ্লাইট পরিচালনার কথা ছিল। কিন্তু যাত্রী–সংকটের কারণে ১ জুন ঢাকা-সৈয়দপুর-ঢাকা রুটে দুটি ফ্লাইট চালানোর পর বন্ধ হয় বিমানের অভ্যন্তরীণ সব রুটের ফ্লাইট। ১১ জুন থেকে যশোরে ফ্লাইট চালু হলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, নিয়ম অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী ৭৪ আসনের উড়োজাহাজে ৫০ জনের মতো যাত্রী বহন করার কথা। সেখানে প্রতি ফ্লাইটে যাত্রী মিলেছে গড়ে ২৭-৩০ জন। এই সময়ে ভাড়া বাড়ানো হয়নি। প্রথম দিকে টিকিটের মূল্যে ছাড় দিয়ে যাত্রী পাওয়ার চেষ্টা করেছিল বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলো। কিন্তু যাত্রীদের ভীতি দূর হয়নি। পরে সব রুটেই সর্বনিম্ন ভাড়া ২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু যাত্রী না পাওয়ায় লোকসানের বোঝা ভারী হচ্ছে।
এমএহক