ঈদের দিনেই করোনায় প্রথম মৃত্যু দেখল চকরিয়া

সারাদেশের মতো কক্সবাজারের চকরিয়ায়ও মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে আনন্দবিহীন ঈদ কাটছে। বাড়িতে থেকে অল্প যতটুকু ঈদ উপভোগ করা যায় সেটিতেও আতংক নিয়ে আসলো সকাল বেলায় করোনাতে চকরিয়ায় প্রথম মৃত্যুর সংবাদে।সারাদেশে করোনায় মৃত্যু ইতোমধ্যে পাঁচশ ছাড়ালেও এতোদিন চকরিয়ায় কেউ মারা যাননি। কিন্তু ঈদের দিনই চকরিয়া পেল সেই দুঃসংবাদ। জেলায় হটস্পটে পরিণত হওয়া চকরিয়ায় হাফেজ সিরাজ-উদ্দৌলা (৬৫) সোমবার (২৫ মে) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যান। এদিন সকাল ৯টার দিকে তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তীব্র জ্বর ও শ্বাসকষ্ট সহ্য করতে না পেরে তিনি মারা যান।

হাফেজ সিরাজ-উদ্দৌলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন চকরিয়া অফিসের কেয়ারটেকার এবং চকরিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের হালকাকারা এলাকার মৃত মাওলানা আবদুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র এবং সাংবাদিক জাকের উল্লাহ চকোরীর মেজ ভাই।

চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহবাজ জানান, গত কয়েকদিন ধরে তিনি জ্বরে ভূগছিলেন। পরে গত ১৮ মে সিরাজ-উদ্দৌলার নমুনা সংগ্রহের পর পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করা হয়। রোববার (২৪ মে) তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এতদিন ধরে তিনি বাড়িতেই থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গতকাল রোবাবর থেকে তার শ্বাস কষ্ট শুরু হয়। পরে সোমবার সকাল ৯টার দিকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ভর্তির ২ ঘন্টা পর তিনি মারা যান। আসলে আমাদের হাসপাতালে আইসিইউর কোন ব্যবস্থা নেই।

চকরিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল করিম বলেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া সিরাজ-উদ্দৌলাকে হাসপাতাল থেকে সরাসরি কবরস্থানে নিয়ে গিয়ে জানাজা, দাফন-কাফনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, করোনায় মারা যাওয়া হাফেজ সিরাজ-উদ্দৌলার মরদেহ যথাযথ নিয়ম মেনে দাফনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, চকরিয়ায় ২৪ মে পর্যন্ত ১২৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২০ জন সুস্থ হয়ে উঠলেও একজন সোমবার সকালে মারা গেছেন।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!