মুচলেকায় মুক্তি/ ইয়াবাসহ পাঁচজনকে ধরে ছেড়ে দিলেন কাউন্সিলর তৌফিক (ভিডিও)

দণ্ডনীয় অপরাধের বিচার কি স্থানীয়ভাবে হয়—প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে

0

পাঁচ মাদকসেবীকে ইয়াবাসহ হাতেনাতে পেয়েও মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌফিক আহমেদ চৌধুরী। মাদক সেবন, পরিবহন ও বিক্রি দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও এই মাদকসেবীদের আইনের হাতে সোপর্দ না করে নিজ দায়িত্বে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিতে পারেন কিনা—সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাত ১০টায় চসিকের দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আমান বাজার খোশালশাহ এলাকার শান্তিকলোনী থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় পাঁচ ইয়াবাসেবীকে পিটুনি দেওয়া হয়। পিটুনি দিয়ে মুচলেকা নেওয়ার পর তাদের ছেড়ে দেন কাউন্সিলর তৌফিক। এই পাঁচ মাদকসেবীর নাম দিদার, মাসুম, তাজু, নাহিম ও জুয়েল বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে।

s alam president – mobile

এ বিষয়ে কাউন্সিলর তৌফিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘মাদকসেবীরা সবাই স্থানীয়। মাদকসেবনরত অবস্থায় তাদের পেয়ে স্থানীয় জনগণ তাদের পিটিয়েছে। তারপর অভিভাবক এবং তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছি।’

মাদক সেবন, পরিবহন ও বিক্রি দণ্ডনীয় অপরাধ। এই অপরাধের বিচার স্থানীয়ভাবে করা আইনসম্মত কিনা জানতে চাইলে কাউন্সিলর তৌফিক বলেন, ‘২টা ইয়াবা পেয়েছি। বেশি পেলে পুলিশে দিতাম। স্থানীয়দের অনুরোধে সংশোধনের সুযোগ দিয়েছি।’

দণ্ডনীয় অপরাধের বিচার স্থানীয়ভাবে করার এখতিয়ার কারও আছে কিনা জানতে চাইলে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর ইতস্ততবোধ করে বলেন, ‘বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে জিজ্ঞেস করুন। আমি কিছু বলতে পারছি না।’

Yakub Group

স্থানীয়রা জানান, নামে শান্তিকলোনী হলেও দীর্ঘদিন অশান্তি লেগেই আছে এ কলোনীতে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা লোকের প্রায় ৪০০ বসতি নিয়ে গড়ে ওঠেছে শান্তিকলোনী। অভিযোগ আছে এই কলোনীর বাসিন্দাদের অনেকেই বিভিন্ন অপরাধে জড়িত রয়েছে। শান্তি কলোনীতে নিয়মিত জুয়ার আসর বসার পাশাপাশি চলে ইয়াবা, মদ, গাঁজাসহ সবধরণের মাদক বেচাকেনা ও সেবন।

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!