ইসলামী ব্যাংকে সামাজিক দূরত্বের এই নমুনা! (ভিডিও)
করোনা ভাইরাস ঠেকাতে সরকারিভাবে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের নির্দেশনা থাকলেও চট্টগ্রামের পটিয়ার ব্যাংকগুলোতে বাড়ছে গ্রাহকদের ভিড়। ব্যাংকে সেবা নিতে আসা কেউ মানছে না সামাজিক দূরত্ব। প্রতিদিন ব্যাংকগুলো খোলার সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকরা ভিড় করতে থাকে। বেলা বাড়লেই এ ভিড় আর বেড়ে যায়। তবে এগুলো নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই কর্তৃপক্ষের।
ব্যাংকের অভ্যন্তরে নিরাপদ দূরত্বে একজন করে সেবা দিলেও বাইরে ঠেলাঠেলিতে অপেক্ষমাণ গ্রাহকদের নেই সুরক্ষা ব্যবস্থাও। কে আগে সেবা নেবেন এটা নিয়ে প্রতিযোগিতা লেগেই থাকে তাদের মধ্যে।
রোববার (১০ মে) পটিয়া উপজেলা সদরের ইসলামী ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায়, শত শত গ্রাহকে উপচেপড়া ভিড়। করোনার প্রভাবে শুরুতে ব্যাংক লেনদেনের সময় বেঁধে দেওয়া হয় ১০ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত। এ সময়েই ভিড় করেন গ্রাহকরা। সম্প্রতি নির্দেশনা আসে সরকারি ব্যাংক ব্যতীত সব ব্যাংক বন্ধ রাখার। এ নির্দেশনা পাওয়ার পর গ্রাহক সেবা বন্ধ রেখেছে প্রাইভেট ব্যাংকগুলোর কয়েকটি শাখা।
আজ হঠাৎকরে পটিয়ার কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকের শাখা খোলা হয় গ্রাহক সেবা দিতে। তার মধ্যে প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে ইসলামী ব্যাংকের শহীদ ছবুর রোড শাখায়। এ সময় দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যাংকের সিকিউরিটি ও কর্মকর্তারা নাজেহাল হওয়ার উপক্রম হয়। যদিও ৫ জন করে ভেতরে প্রবেশ করছিলেন গ্রাহকরা। কিন্ত প্রবেশ পথেই যত বিপত্তি।
এ বিষয়ে ইসলামী ব্যাংক পটিয়া শাখা ব্যবস্থাপকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সামাজিক দূরত্ব অবশ্যই মেনে চলতে হবে। প্রত্যেক ব্যাংককেই বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। আমি সকালে কয়েকটি ব্যাংকে গিয়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়ে আসছি। এরপরও কেন এ ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে তা আমার বোধগম্য নয়। তবে এ জন্য ব্যাংক সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতাকে দায়ী করেন তিনি।
এএইচ