চট্টগ্রামে চিন্ময় প্রভুসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট ও বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের অভিভাবকমণ্ডলী এবং সন্তমণ্ডল পর্ষদ। একইসঙ্গে নগরীর হাজারী গলি থেকে গ্রেপ্তার সনাতনীদের চিকিৎসা ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার দাবিও জানানো হয়।
১৫ দিনের জন্য স্থগিত আন্দোলন ফের চালুর হুঁশিয়ারি দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বামী রবিশ্বরানন্দ বলেন, চিন্ময় প্রভুকে নিয়ে ‘সুবিধাবাদী ও কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণ’ অব্যাহত থাকলে ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারীকে সাধুসমাজে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।
রোববার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নন্দনকাননের তুলসিধাম আশ্রমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান সন্তমণ্ডল পর্ষদের প্রধান স্বামী রবিশ্বরানন্দ পুরী মহারাজ। দাবি না মানলে আবারও সনাতনীরা রাস্তায় নেমে ফের আন্দোলন করবে বলে জানান তিনি।
এর আগে সংখ্যালঘু হিন্দু জনগোষ্ঠীর অধিকার নিয়ে আন্দোলনরত সনাতন জাগরণ মঞ্চ সারাদেশে তাদের প্রতিবাদ কর্মসূচি ১৫ দিনের জন্য স্থগিত করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বুধবার রাতে মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ প্রভু এক ভিডিও বক্তব্যে কর্মসূচি স্থগিতের কথা জানান। তবে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা প্রত্যাহার না হলে এবং হাজারী গলির ঘটনায় গ্রেপ্তার সনাতনীদের চিকিৎসা ও ন্যায়বিচার পেতে প্রহসন হলে ১৫ দিনের আগেই আবারও সনাতনীরা রাজপথে নামবে বলে জানান স্বামী রবিশ্বরানন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে দেশে চলমান সনাতনীদের অধিকারের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য ইসকনকে নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন স্বামী রবিশ্বরানন্দ পুরী মহারাজ। তিনি বলেন, আমরা সবাই ইসকনের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ আছি এবং এর সাথেই কার্যক্রম পরিচালিত করছি।
সংবাদ সম্মেলনে চিন্ময় কৃষ্ণকে নিয়ে ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারীর দেওয়া বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন সন্তমণ্ডল পর্ষদ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রীমৎ প্রাঞ্জলানন্দ পুরী মহারাজ, বিপ্লব চৈতন্য ব্রহ্মচারী মহারাজ, পরিতোষানন্দ গিরি মহারাজ, রণনাথ ব্রহ্মচারী মহারাজ ও গোবিন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ।