চট্টগ্রামে হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইসকনকে ‘জঙ্গি সংগঠন’ বলায় মানহানির অভিযোগ এনে মামলা হয়েছে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানায়।
বুধবার (১৪ জুলাই) রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেছেন ইসকনের সন্ন্যাসী জগদার্তিহা দাস।
ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস বা আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ হল গৌড়ীয় বৈষ্ণব মতবাদের অনুসারী একটি হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। সংক্ষেপে এই প্রতিষ্ঠান ‘ইসকন’ হিসেবে পরিচিত।
পাঁচলাইশ থানার ওই মামলায় প্রবর্তক সংঘের সাধারণ সম্পাদক তিনকড়ি চক্রবর্তী ও সহ সভাপতি রণজিত কুমার দে ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ইসকনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, দেশে প্রায় ৭৫০টি বড় ইসকন মন্দির ছাড়াও শুধুমাত্র বাংলাদেশে ১১০টি ইসকন মন্দির রয়েছে। ধর্ম প্রচারের পাশাপাশি ইসকন ফুড ফর লাইফ, অনাথ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যবস্থা, ধর্মীয় শাস্ত্রের জ্ঞান প্রচারসহ বিভিন্ন মানবিক ও ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কিন্তু গত ২৬ জুন প্রবর্তক সংঘের সাধারণ সম্পাদক তিনকড়ি চক্রবর্তীসহ অন্যান্যরা ইসকনকে জঙ্গি সংগঠন অভিহিত করে প্রচার চালায় সংগঠনটি ‘সাধুবেশে জঙ্গি তৎপরতা চালায়’।
তারা অভিযোগ করেন, ইসকনকে জঙ্গি সংগঠন আখ্যায়িত করাসহ বিভিন্ন মানহানিকর কথা প্রচার করে সংগঠনের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে।
তবে প্রবর্তক সংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মামলায় যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটা ভিত্তিহীন।
এর আগে বেআইনিভাবে প্রবর্তক সংঘের ভূমি আত্মসাৎ, মন্দিরের দানের অর্থ লোপাটসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে ইসকনের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় প্রবর্তক সংঘ। মূলত এরপর থেকেই দুই পক্ষই প্রকাশ্য বিরোধে জড়িয়ে পড়ে।