ইলিশ সংরক্ষণে চলতি বছরের দ্বিতীয় দফা সমুদ্রে মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা শুরুর প্রথম দিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথেই চট্টগ্রামের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ফিশারীঘাটে হানা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। রিয়াজউদ্দিন বাজারেও চালানো হয় অভিযান। তবে এই দুই বাজারে কোন ইলিশ পাওয়া যায়নি। জেলি মেশানো চিংড়ি মাছ বিক্রি করায় এক ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হোসেন।
তিনি জানান, বুধবার (১৪ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৫টা থেকে চট্টগ্রাম নগরীর ফিশারিঘাটে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসানের নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়। ফিশারিঘাটে কোনো ইলিশ বিক্রি করতে দেখা যায়নি এবং মজুদ পাওয়া যায়নি। এরপর চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ পাইকারি বাজার রিয়াজউদ্দিন বাজারে অভিযান পরিচালনা করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এখানেও কোনো ইলিশ পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও জানান, রিয়াজউদ্দিন বাজারে মোহাম্মদ সেলিম নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে জেলি মেশানো ৪০ কেজি চিংড়ি পাওয়া যায়। মাছে ক্ষতিকর জেলি মেশানোর অপরাধে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং মাছগুলো জব্দ করা হয়।
অপরদিকে মমিন রোডের অস্থায়ী খুচরা বাজারে মো. সোহেল নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে ২০ কেজি ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। ওই ব্যবসায়ী কে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জব্দকৃত মাছগুলো নগরীর বিভিন্ন এতিমখানায় বিলি করার জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সরকার ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্রে ইলিশসহ সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ। এসময় দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, বিনিময় এবং মজুদ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার।
দেশে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির স্বার্থে সরকারের এই ঘোষণা কার্যকর রাখতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন নিয়মিত বাজার তদারকি করবেন বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হোসেন।
এফএম/এমএফও