ইতিহাস গড়েই এএফসি কাপের নকআউটে উঠেছে আবাহনী

0

ইতিহাস আবাহনীকে ডাকছিল। প্রয়োজন ছিল কেবল একটি জয়ের। ড্র হলেও চলতো। তবে আবাহনী জিততেই পছন্দ করেছে! এএফসি কাপে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ভারতের চ্যাম্পিয়ন মির্নাভা পাঞ্জাবকে ১-০ গোলে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশের জায়ান্টরা। মিনার্ভা পাঞ্জাবকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি কাপের নকআউটে উঠেছে আবাহনী।

শুধু আবাহনীর নিজেদেরই নয়, এই জয়ে সমৃদ্ধ হল বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসও। এশিয়ার ইউরোপা লিগখ্যাত টুর্নামেন্টের নকআউটে প্রথমবারের মতো পা পড়ল কোন লাল-সবুজের ক্লাবের।

অনেকেই অভিযোগের সুরে বলেন আবাহনী ঘরের বাঘ! কথাটির বিরোধিতা করার সুযোগও ছিল না। ঘরোয়া ফুটবলের বেশির ভাগ শিরোপা আবাহনীর শো কেসে গেলেও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট থেকে তারা ফিরে খালি হাতে। আপাতত সেই সমালোচনা বন্ধ। ভারতের মিনার্ভা পাঞ্জাবকে তাদের মাঠে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি কাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে জায়গা করে নিয়েছে আবাহনী। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেছেন আফগানিস্তানের ডিফেন্ডার মাশিহ সাইগানি।

s alam president – mobile

জয় পেলে এএফসি কাপের দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত, ড্র করলে বা হারলেও থাকবে সম্ভাবনা। তবে সেক্ষেত্রে তাকিয়ে থাকতে হবে গ্রুপের অন্য ম্যাচের দিকে—এমন একটা সমীকরণ সামনে রেখেই আজ গুয়াহাটিতে মিনার্ভার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল আবাহনী। কিন্তু অত সমীকরণের ধার ধারেনি বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নরা। আই লিগের সাবেক চ্যাম্পিয়ন মিনার্ভাকে হারিয়ে নিজেদের কাজ সেরেই দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট নিশ্চিত করেছে তারা।

গুয়াহাটির ম্যাচটির সঙ্গে একই সময়ে কাঠমান্ডুতে চলছিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে আবাহনীর প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের চেন্নাইয়িন এফসি ও নেপালের মানাং মার্শিয়াংদির ম্যাচ। সে ম্যাচে চেন্নাইয়িন ৩-২ গোল হারায় মার্শিয়াংদিকে। ফলে দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে জয় ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না আবাহনীর সামনে। মিনার্ভার বিপক্ষে জিতে গ্রুপ ‘ই’ থেকে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন আবাহনী, রানার্সআপ ১১ পয়েন্ট পাওয়া চেন্নাইয়িন।

গোলশূন্য ড্রয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল আবাহনী। অন্যদিকে কাঠমান্ডুতে ৩-২ গোলে জয়ের পথে চেন্নাইয়িন। খেলার মধ্যে থাকলেও খবরটা নিশ্চিত আবাহনী ফুটবলারদের কানে পৌঁছেছিল। শেষ বাঁশিও বেজে যাওয়ার অপেক্ষা। ড্র হলে খুব কাছে গিয়েও ইতিহাস গড়তে না পারার শঙ্কা আবাহনীর। এমন অবস্থায় নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে সেন্টারব্যাক মাশিহ সাইগানির গোল। নাবীব নেওয়াজ জীবনের কর্নার থেকে হাইতিয়ান স্ট্রাইকার কেভিন বেলফোর্ট হেড করলে গোল মুখে গিয়ে ফিরে। সেখান থেকে মাশিহর ফিরতি হেড জালে। গোলটি হয়েছে ৯৩ মিনিটে।

Yakub Group

ইতিহাস গড়া গোলের উদ্যাপন কেমন হতে পারেন ভাবুন তো ! গোল করেই সাইগানি এক দৌড়ে সরাসরি ডাগ আউটে চলে আসলেন। ততক্ষণে ডাগআউটে উদ্দাম উল্লাস। রীতিমতো আবেগময় দৃশ্যপট। এমনটা হওয়াই তো স্বাভাবিক। এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো এএফসি কাপ খেলছে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু এবারই প্রথম দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল আবাহনী।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!