চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানা এলাকায় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবিএল) চুরির ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে কোন এক সময়ে কদমতলী শাখায় এই চুরির ঘটনা ঘটে। ধনিয়ালাপাড়া এলাকায় বাইতুস শরফ মাদ্রাসার পাশের বায়তুশ শরফ জিলানি মার্কেটের ছয়তলা ভবনে এই শাখাটির অবস্থান। তবে এ শাখা থেকে কোন টাকা-পয়সা চুরি হয়েছে কিনা এই পর্যন্ত জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে শাখা ব্যবস্থাপকের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। তবে পুলিশ বলছে, নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় ভল্ট খোলার পর জানা যাবে টাকা চুরি হয়েছে কিনা।
পুলিশ দেখতে পায় ব্যাংকের মূল ফটকে যে তিনটি তালা লাগানো ছিল, সেগুলি কেটে ফেলা হয়েছে। তার বদলে একটি নতুন তালা দিয়ে দরজা বন্ধ করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর ব্যাংকের বাইরের গেইটে একটি নতুন তালা লাগিয়ে দেয় চোরের দল।
জানা গেছে, আবুল খায়ের নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন ভবনটির দুই ও তিনতলায় ব্যাংক, নিচতলায় কয়েকটি দোকান, চারতলায় মেটলাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং পাঁচতলায় একটি এনজিওর অফিস আছে। ছয়তলায় রয়েছে একটি ভাড়াঘর। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ছয়তলার ভাড়াটেরা হেল্পলাইন ৯৯৯-এ ফোন করে জানায়, ব্যাংকের ফটকের সামনে নিরাপত্তাকর্মী অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছেন। এর পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে, ওই নিরাপত্তাকর্মী মাটিতে পড়ে আছে। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শনিবার দুপুরে ইউসিবিএল কদমতলী শাখায় চুরির খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এর পরপরই মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিমও পরিদর্শন করে ওই শাখা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ বলেন, শুক্রবার রাতে কোন এক সময়ে এই ঘটনা ঘটে। শনিবার দুপুরে জানতে পেরে তাৎক্ষণিক পুলিশের একটি টিম সেখানে পাঠানো হয়। সেখানে পুলিশের পাশাপাশি নগরের গোয়েন্দা টিমের সদস্যদের উপস্থিতিতে ব্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যায় সব ঠিকঠাক আছে। বাইরের অংশে চুরি আলামতের কোন কিছু বোঝা যায়নি। তবে ব্যাংকের ভেতরে ভল্ট লক করা ছিল। এটি খুললে বোঝা যাবে চুরির বিষয়টি।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা থেকে ব্যাংকের লোকজন এসেই ভল্ট খুলবেন। সেটি খোলার পর চুরির বিষয়টি ক্লিয়ার হওয়া যাবে। এ ব্যাপারে কোনও মামলা হয়নি এবং কেউ আটক নেই বলেও জানান ওসি।
এসএ/সিপি