চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচর্য, চট্টগ্রামের সন্তান প্রফেসর ডা. মো. ইসমাইল খানকে আগামী দু’বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি)খণ্ডকালীন সদস্য মনোনীত করা হয়েছে।
রোববার (১ অক্টোবর) মঞ্জুরি কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আদেশ-এর ৪(১) সি) ও ৪ (৪) ধারার বিধান অনুসারে গৃহীত কমিশন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৫ অক্টোবর থেকে পরবর্তী দু’বছরের জন্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খানসহ আরও দু’জনকে খণ্ডকালীন সদস্য মনোনীত করা হলো।
ডা. ইসমাইল ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন, পরবর্তীতে ২০২১ সালে প্রথম মেয়াদ পূর্তির পর থেকে তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে আরও চার বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য পদে পুনঃনিয়োগ লাভ করেন।
১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন ডা. ইসমাইল। দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ছাড়াও তিনি মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্সে তিন বছর শিক্ষকতা করেছেন। পাশাপাশি তিনি মালয়েশিয়ার সাইবারজায়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অতিথি অধ্যাপক।
এছাড়াও ডা. ইসমাইল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও চিকিৎসা অনুষদের নির্বাচিত ডিন ছিলেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রধান এবং মেডিকেল কলেজটির উপাধ্যক্ষ ও পরবর্তীতে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনও করেন তিনি।
ইসমাইল খান চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার মধ্যম মঘাদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মো. আকরাম খান ও মা হোসনে আরা বেগম।
তিনি মীরসরাই পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৫ সালে মাধ্যমিক ও ১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৮৪ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মাকোলজিতে এমফিল এবং অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিকেল এডুকেশনে (এমই) পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করেন।
বিএস/ডিজে