চট্টগ্রামের ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ইউএসটিসি)’র অধীনে পরিচালিত বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসাপতাল কর্মচারী ইউনিয়নের ৪ নেতাকে চাকরিচ্যুত করেছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (৩০ মে) সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের খুলশী থানা এলাকার ইউএসটিসি ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান নেন প্রতিষ্ঠানটির শতাধিক কর্মচারী। পরে তারা ইউএসটিসি’র চেয়ারম্যানের বাংলোর সামনে গিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন।
চাকরিচ্যুত কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা হলেন, শাহ আলম, মানিক মিয়া, আব্দুল আজিজ এবং সোহেল।
আন্দোলনকারীরা জানান, গত ৯ এপ্রিল ২০ নার্সসহ মোট ৩৫ জনকে ‘বিনা কারণে’ চাকুরিচ্যুত করে ইউএসটিসি কর্তৃপক্ষ। এদের চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় কর্মচারী ইউনিয়নের প্রথম সারির ৪ নেতাকেও চাকরিচ্যুত করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করছেন।
এ বিষয়ে খুলশী থানার উপ-পরিদর্শক সেলিম আল দীন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের শুরুতে ৯ এপ্রিল ৩৫ জন কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করে ইউএসটিসি কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে দীর্ঘদিন আন্দোলনও করেন কর্মচারীর ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। আমরা মালিক পক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করার চেষ্টাও করেছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্তে অনড়। আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় কর্মচারী ইউনিয়নের ৪ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে। শাহ আলম, মানিক মিয়া, আব্দুল আজিজ এবং সোহেল নামে ৪ নেতাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এর প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকে ইউএসটিসির কর্মচারীরা আন্দোলন করেছেন।’
এদিকে ইউএসটিসি থেকে চাকরিচ্যুত নার্স ও কর্মচারীদের চাকরি বহাল রাখার দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভে যোগ দেয় যুব শ্রমিক লীগ চট্টগ্রাম মহানগর ও বিএলএফ লেভার ফেডারেশন। এতে বক্তব্য রাখেন যুব শ্রমিক লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান ও বিএলএফ লেভার ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আনোয়ার হোসেন।
তারা এ সময় বলেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যদি চাকরিচ্যুতিএ সিদ্ধান্ত বাতিল করা না হয় তাহলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এসআর/এমএফও