আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে হত্যার পর তার লাশের জানাজা নিয়েও একটি মহল নোংরা রাজনীতি করেছে— এবার এমন অভিযোগ খোলাখুলিই তুলেছে হেফাজতের প্রয়াত আমির শাহ আহমদ শফীর অনুসারীরা। এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর হাটহাজারী মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত শাহ আহমদ শফীর জানাজায় দেখা যায়নি তার ছেলে ও হেফাজতের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আনাস মাদানীকে।

সবসময় পিতার ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকা আনাস মাদানী কেন পিতার শেষ যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন না— এই প্রশ্নের জবাবে অনেকদিন চুপ থাকলেও এবার এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন হেফাজতে ইসলামের দায়িত্বশীলরা। আহমদ শফীর মৃত্যুর পর হাটহাজারী মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ দখলে নেওয়া হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীর ‘বাধা’র কারণেই পিতার জানাজায় আনাস উপস্থিত হতে পারেননি বলে জানিয়েছেন হেফাজতের দায়িত্বশীল এক নেতা।
শনিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’ এর ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আল্লামা শফীর শ্যালক মো. মাইনুদ্দিন বলেন, ‘আনাস মাদানী হত্যার হুমকি পেয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।’
এই বিষয়ে জানতে চাইলে হেফাজতে ইসলামের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার প্রচার সম্পাদক আ ন ম আহমদ উল্লাহ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘সে সময় বাবুনগরী আনাস মাদানীকে স্পষ্টভাবে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন আনাস মাদানী জানাজায় অংশ নিলে হাটহাজারী মাদ্রাসায় একটি নয় বরং দুটো জানাজা হবে। এই ধরনের হুমকির পর পরিস্থিতি বিবেচনায় পিতার জানাজায় অংশ নেওয়া থেকে বিরত ছিলেন আনাস মাদানী।’
এদিকে ১৮ সেপ্টেম্বর আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর পর তার লাশ ঢাকার ফরিদাবাদ মাদ্রাসায় নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই শফীর লাশের সামনে অতর্কিত হামলা করা হয় আনাস মাদানীর ওপর। এরপর থেকেই একেবারে লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান আনাস মাদানী। ফরিদাবাদ মাদ্রাসায় শফীর লাশের সামনে তার ছেলে আনাসকে পেটানোর জন্যও বাবুনগরীর অনুসারীদের দায়ী করে আসছিলেন শফীর অনুসারীরা।
এই বিষয়ে কথা বলার জন্য জুনায়েদ বাবুনগরীর খাদেমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও অপর প্রান্ত থেকে বারবার কল কেটে দেওয়ায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এআরটি/সিপি