টানা সপ্তমদিনের মতো দুইশর উপরে করোনা রোগী শনাক্ত হলো চট্টগ্রামে। গত ২৭ জুন চারটি ল্যাব মিলিয়ে করোনা শনাক্ত নেমে গিয়েছিল ৬৪ জনে। এরপর থেকে আর নামেনি দুইশর নিচে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুনভাবে আরও শনাক্ত হয়েছেন ২২০ জন। সাথে মৃত্যুও হয়েছে দুজনের। তাতে করে চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৮৮৮ জন, যাদের মধ্যে ৬ হাজার ৮২৫ জন নগরের ও ৩ হাজার ৬৩ জন উপজেলার বাসিন্দা। নতুনভাবে করোনাজয় করেছেন ৩৯ জন। ফলে এ পর্যন্ত করোনামুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৯৫ জন। একইসময়ে করোনায় চট্টগ্রাম নগরে ও উপজেলায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন মোট ১৮৯ জন, যাদের মধ্যে ১৩৭ জন নগরের ও ৫২ জন উপজেলার বাসিন্দা।
রোববার (৫ জুলাই) সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, চট্টগ্রামের সরকারি চারটি ও বেসরকারি একটি ল্যাব এবং কক্সবাজারের একটি ল্যাব মিলিয়ে মোট ১০৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় আরও ২২০ জনের দেহে করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে। নতুন শনাক্তদের মধ্যে নগরের ১৬২ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ৫৮ জন। একইসাথে চট্টগ্রামে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩৯ জন এবং মারা গেছেন নগর ও উপজেলার ২ জন। এদিন বেসরকারি ল্যাব ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-তে ১৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৪ জনের দেহে করোনা পজিটিভ মিলেছে। যাদের মধ্যে ১১ জন নগরের ও ৩ জন উপজেলার বাসিন্দা।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাবে আগেরদিনের চেয়ে কিছুটা বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সেখানে ২০৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে মাত্র ২০ জনের শরীরে। যাদের ৩ জন নগরের ও ১৭ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে প্রতিদিনের মতো সর্বাধিক নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সেখানে ২৪ ঘণ্টায় ৪৪৮টি নমুনা পরীক্ষা করে দিনের সর্বোচ্চ ৯৩ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়, যাদের মধ্যে ৭৭ জন নগরের ও ১৬ জন উপজেলার বাসিন্দা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে আগেরদিনের চেয়ে অর্ধেকের চেয়েও কম নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মোট ৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করিয়ে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন ১০ জন। যাদের ৫ জন নগরের ও ৫ জন উপজেলার।
অন্যদিকে, বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পায়নি সিভিল সার্জন অফিস।
গত ২৪ ঘণ্টায় শেভরণ ল্যাবে আগেরদিনের চেয়ে দ্বিগুনেরও বেশি ২০৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৬ জন নগরের ও ১৭ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
এছাড়া, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করানো হলেও মেলেনি কোন রোগী।
উপজেলা পর্যায়ে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত ৫৮ জনের মধ্যে আবারও সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া যায় হাটহাজারী উপজেলায়। সেখানে ১৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। মিরসরাই উপজেলায় ১৩ জন করোনা রোগী। এছাড়া পটিয়ায় ৮ জন, রাউজানে ৪ জন, লোহাগাড়া, সাতকানিয়া ও আনোয়ারায় ৩ জন করে, চন্দনাইশ, বোয়ালখালী, রাঙ্গুনিয়া ও ফটিকছড়িতে ২ জন করে, বাঁশখালী ও সীতাকুণ্ডে ১ জন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এমএহক