চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে দেশের মুড়ি ও চিড়ার লাড্ডু যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। যুক্তরাষ্ট্রের এই শহরে বাংলাদেশি কমিউনিটির কাছে বেশ জনপ্রিয় মুড়ি ও চিড়ার লাড্ডু। তবে বেশ আগে থেকে মুড়ি রপ্তানি হলেও এবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চিড়ার লাড্ডু। একইসঙ্গে অল্প পরিমাণের সাগু দানাও পাঠানো হয়েছে।
চট্টগ্রামে বন্দর থেকে ৪০ ফুটের কন্টেইনারে করে ৬ হাজার ৭৫৮ কেজি খাদ্যদ্রব্য পাঠানো হচ্ছে। এর মধ্যে মুড়ি ৩৮৪০ কেজি। বাকি পণ্য হচ্ছে চিড়ার লাড্ডু ও সাগু দানা।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের ‘এমএন ইন্টারন্যাশনাল’ নামের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ৪০ ফুটের একটি কন্টেইনারে পণ্য চালান পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। নিউইয়র্কের ‘নিউ হক অ্যান্ড সন্স’ নামের প্রতিষ্ঠান এই চালানের আমদানিকারক।
এই চালান চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে রপ্তানির যাবতীয় কাজ করছেন সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান ‘আমির ইন্টারন্যাশনাল’।
‘আমির ইন্টারন্যাশনাল’র কাস্টমস সরকার মো. রিয়াজ উদ্দিন সাব্বির বলেন, ‘আমরা প্রতিমাসেই এক কন্টেইনার করে মুড়ি বিদেশে পাঠাই। আমরা বিশেষ করে আমদানি পণ্যের সিঅ্যান্ডএফের কাজ করি। কিন্তু রপ্তানি পণ্যের কাজ করি শুধু এটি একটিই। মুড়ির বেশ কদর রয়েছে আমেরিকাতে। বিশেষ করে নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশিরা মুড়ি পছন্দ করেন। সঠিক সময়ে শিপম্যান্ট করতে পারলে এক মাসের মধ্যে হাতে পৌঁছে যায় চালান।’
চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের রোগতত্ত্ববিদ সৈয়দ মুনিরুল হক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘৪০ ফুটের এক কন্টেইনার পণ্যে মুড়ি, চিড়ার লাড্ডু ও সাগু দানা যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কে। আগে থেকে মুড়ি-বিস্কুট বাংলাদেশ থেকে যেতো। এখন নতুন করে যুক্ত হলো চিড়ার লাড্ডু। বাংলাদেশি কমিউনিটিতে এর চাহিদা বেশি। আমরা চাই, এই ধরনের পণ্য চালানা যত বেশি বিদেশে যাবে, তত বাংলাদেশের রাজস্ব বাড়বে। তাই আমরা এগুলোতে বেশ সহযোগিতা করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসব পণ্যের চালান সঠিক মান যাচাই করেই পাঠানো হয়। একটু এদিক-ওদিক হলেই ইউরোপ-আমেরিকার দেশে চালান রিসিভ করে না। উল্টো এই ধরনের পণ্য চালানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দেয়।’
ডিজে