আবুল খায়েরের খালি কন্টেইনার এসেছিল শিপিং এজেন্টের ভুলে!

স্ক্র্যাপ পণ্য আমদানির ঘোষণা দিয়ে দেশের বৃহৎ শিল্প গ্রুপ আবুল খায়েরের একটি চালানে খালি কন্টেইনার এসেছে শিপিং এজেন্ট হেপাগ লয়েডের ভুলে।

সাউদাম্পটন বন্দর থেকে জাকার্তা ব্রিজ নামের জাহাজে স্ক্র্যাপ পণ্যবাহী কন্টেইনার লোড করতে গিয়ে খালি কন্টেইনার পাঠিয়ে দিয়েছে ওই শিপিং এজেন্ট। শুরুতে এই ঘটনাটিকে আমদানিকারক আবুল খায়ের স্টিল মেন্টিং লিমিটেডকে দায়ী করে মানিলন্ডারিং ঘটনা ঘটতে পারে বলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ দাবি করলেও দেশীয় শিপিং এজেন্ট জিবিএক্স লজিস্টিকস লিমিটেড এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে।

গত ১৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কমিশনার বরাবর প্রেরিত এক চিঠিতে বলা হয়, স্ক্র্যাপ পণ্য আমদানির ঘোষণা দিয়ে খালি কন্টেইনার আসায় আবুল খায়ের গ্রুপের কোন দায় নেই। এটি হেপাগ লয়েড শিপিং এজেন্টের ভুল শিপমেন্টের কারণে হয়েছে।

জিবিএক্স লজিস্টিকসের সিনিয়র ম্যানেজার (অপারেশন) মো. কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে হেপাগ লয়েড শিপিংয়ের পক্ষ থেকে কয়েকটি ইমেইল সংযুক্ত করা হয়। যেখানে এই ঘটনাটিকে হেপাগ লয়েডের ভুল শিপমেন্ট হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে, গত ১৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের এ আই আর (অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ) শাখার ডেপুটি কমিশনার নূর উদ্দিন মিলন এবং জেটি/স্ক্যানিং বিভাগের ডেপুটি কমিশনার সুলতান মাহমুদসহ বন্দর এবং বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে আবুল খায়ের গ্রুপের আমদানিকৃত কন্টেইনারটি খুলে খালি পাওয়া যায়। ওই সময় এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার নূর উদ্দিন মিলন এই ঘটনাকে মানি লন্ডারিংয়ের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করেন।

আবুল খায়ের গ্রুপের সিনিয়র ম্যানেজার (অ্যাডভার্টাইজমেন্ট অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ ডেভলেপমেন্ট) মো. খোরশেদ আলম ফারুক বলেন, ‘ডকুমেন্ট যাচাই করা ছাড়া চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে থেকে আমাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের দায় চাপিয়ে দেয়। এই ঘটনায় আমাদের প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। শিপিং এজেন্টের চিঠিতে স্পষ্ট হয়েছে প্রকৃত ঘটনা কী ছিল।’

এ ব্যাপারে কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘এরা বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান। অনেকগুলো কনটেইনার আনে। এখানে একটি কনটেইনার খালি থাকতেও পারে। কারণ ভুল হতে পারে। তাই তাদের ভুল স্বীকারকে আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি।’

প্রসঙ্গত, আবুল খায়ের স্টিল মেল্টিং লিমিটেড ২৬,৭৬০ টন স্ক্র্যাপ আমদানির ঘোষণা সাউদাম্পটন বন্দর থেকে এইচ. এল. এক্স. ইউ. ৩১৮৬০৩৫ নাম্বারের কন্টেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার পর স্ক্যানিংয়ের সময় দেখা যায় কন্টেইনারটি খালি। আমদানির পর শফি মটর্সের আইসিডিতে (ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো) পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কন্টেইনারটি। পরবর্তীতে কাস্টম কর্তৃপক্ষ সেটি জব্দ করে।

এএস/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!