আবার করোনা হাসপাতাল বানাচ্ছে বিদ্যানন্দ, এবার প্রিমিয়ারের হোস্টেলে

চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণের হার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকায় করোনা চিকিৎসায় আবারও ফিল্ড হাসপাতাল বানাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক সহযোগিতায় আগামী সপ্তাহে এটি চালু হওয়ার কথা রয়েছে।

বিদ্যানন্দ সূত্রে জানা যায়, নগরীর সাগরিকায় প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত মহিলা হোস্টেলে ৭০ শয্যার এই ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে হাসপাতালের ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

আরও জানা যায়, ফিল্ড হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা, হাই ফ্লো ন্যাজাল অক্সিজেন ক্যানুলা সাপোর্ট থাকবে। রোগীদের চিকিৎসার জন্য ১০ জন চিকিৎসক সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবেন। পাশাপাশি ৮ জন নার্স ও ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন। এছাড়া চট্টগ্রামের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের নিয়ে মেডিকেল টিমও গঠন করা হবে।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক ও চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের কো-অর্ডিনেটর জামাল উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা মূলত লাইফ সেভিংয়ের জন্য কাজ করি। চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক অবস্থা খুব ভয়াবহ ও করুণ। হাসপাতালগুলোতে কোন সিট খালি পাচ্ছে না রোগীরা। চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে রোগী। তাই আমরা আবারও ফিল্ড হাসপাতাল বানানোর উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের কাজ ইতোমধ্যে ৮০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি আগামী সপ্তাহ থেকে সেবা দেয়া শুরু করতে পারবো।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা শূন্য হাত দিয়ে এই হাসপাতাল শুরু করেছি। প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের আবাসিক সহায়তা করছে। অন্যদিকে নিরাপত্তার দিকটা দেখবে সিএমপি। আমরা আশা করছি অতীতের ন্যায় মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসবে। আমরা সেবাকে আরও সম্প্রসারিত করতে পারবো।’

এ বিষয়ে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘সাগরিকায় আমরা মহিলা হোস্টেলের জন্য একটি ভবন নির্মান করেছি। এতে ৬৭ টি কক্ষ রয়েছে। গতবছর যখন করোনার সংক্রমণ বেড়ে যায় তখন ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মতিক্রমে এটি পুলিশ সদস্যদের আইসোলেশন সেন্টারের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ব্যবহার করে সংক্রমণ কমে আসায় বন্ধ ঘোষণা করেছিলো। এখন আবার করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় করোনা ফিল্ড হাসপাতাল করতে ভবনটি চেয়েছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। আমরা তাদের এটি ব্যবহার করতে অনুমতি দিয়েছি।’

Yakub Group

তিনি আরও বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের হার এখন খুব বেশি বেড়ে গেছে। আমি মনে করি মানুষের প্রয়োজনে মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে যা কিছু সম্ভব তা নিয়ে। যদিও আমাদের এটি বিশ্ববিদ্যালয়। এর মূখ্য কাজ হলো গবেষণা করা, শিক্ষাদান করা, শিক্ষার বিস্তার ঘটানো। বিদ্যানন্দ বিভিন্ন জায়গায় অনেক ভালো কাজ করতেছে, ভবিষ্যতেও করবে। তারা সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যানে কাজ করে। তাই আমরা মনে করেছি যেহেতু আমাদের মহিলা হোস্টেলটি এখনো চালু হয়নি, তাই ভবনটি ফিল্ড হাসপাতালের জন্য বিদ্যানন্দকে দেয়া যেতে পারে।’

এমআইটি/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!