দলীয় কর্মসূচিতে কয়েকদিন ধরে দেখা মিলছে না চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালামের। এমনকি তার নিজ সংসদীয় আসন চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) এর আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়ও দেখা যায়নি তাকে। অথচ দলের হয়ে নির্বাচন করতে তিনি নিয়েছিলেন মনোনয়ন ফরম।
এদিকে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে দলীয় মনোনীত প্রার্থী, নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এই সময় দলের অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকলেও আবদুচ ছালামকে দেখা যায়নি। দলীয় মনোনয়ন পেতে আবেদন করা ২৭ জনের মধ্যে তিনি একজন ছিলেন।
সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হাসানুজ্জামানকে এই মনোনয়নপত্র জমা দেন নোমান আল মাহমুদ।
এই বিষয়ে জানতে নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
এছাড়া দলীয় বেশিরভাগ কর্মসূচিগুলোতেও তার দেখা মিলছে না আবদুচ ছালামের।
এর আগে গত রোববার মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দলীয় ঘোষিত কর্মসূচিতে ছিলেন না আবদুচ ছালাম। শহীদদের স্মরণে নগর আওয়ামী লীগের পুস্পস্তবক অর্পণ কর্মসূচিতে তিনি যোগ দেননি।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে আলোচনা সভার আয়োজন করে নগর আওয়ামী লীগ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। সেই অনুষ্ঠানেও দেখা মেলেনি নগর আওয়ামী লীগের এই নেতার।
এর আগে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায়ও আসেননি আবদুচ ছালাম।
এদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মনোনয়ন বোর্ডের সভায় চট্টগ্রাম-৮ আসনের প্রার্থী হিসেবে নোমান আল মাহমুদকে চূড়ান্ত করা হয়।
এই আসনের দু’বারের এমপি জাসদের নেতা মঈন উদ্দিন খান বাদল ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর মারা যান। ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারির উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা মোছলেম উদ্দিন আহমেদ সংসদ সদস্য হন। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি মোছলেম উদ্দিন মারা যাওয়ার পর উপনির্বাচন ঘিরে আলোচনায় আসে সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এবং সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান ও নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালামের নাম।
আরএস/ডিজে