আনোয়ারার করোনা রোগী আসছে সকালে, পটিয়া-নিমতলায় ২ বাড়ি লকডাউন

বুধবার (১৫ এপ্রিল) চট্টগ্রামে ৫ ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে জেলার পটিয়া ও মহানগরীর বন্দর থানাধীন নিমতলায় দুটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। অন্যদিকে রাতে আনোয়ারা উপজেলার ওষখাইন গ্রামটি লকডাউন করার ঘোষণা দেওয়া হয়। রাতের বেলায় সেখানে মাইকিং করে কাউকে গ্রাম থেকে বের হতে নিষেধ করেছে প্রশাসন। এদিকে সিভিল সার্জন কার্যালয় অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা দিতে না পারায় আনোয়ারায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে আনা হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে। রোগী আনতে গিয়ে দেখেশুনে লকডাউন করা তার বাড়ি। অপর দুই পুলিশ সদস্যকে দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে লকডাউন ও হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থা থেকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় পটিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। রাতেই ওই রোগীকে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পাঠানো অ্যাম্বুলেন্সে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৫ এপ্রিল) মধ্যরাতে আনোয়ারা থানার ওসি দুলাল মাহমুদ জানান, রাতে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে অ্যাম্বুলেন্স পাঠাতে পারেনি। (বৃহস্পতিবার) সকালে পাঠানো হবে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারের সাথে আলোচনা করে রাতেই আমরা মাইকিং করে কাউকে গ্রাম থেকে বের হতে নিষেধ করেছি। সকালে স্যারসহ গিয়ে রোগীকে শহরে পাঠানোর পাশাপাশি দেখে শুনে লকডাউন করবো।

চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী জানান, মমতাজ বেগম নামের এক নারী নিমতলায় তার বোনের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। তিনি ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে আইসোলেশনে মারা যান। আমরা তার বোনের বাসা লকডাউন করেছি।’

এদিকে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের গণসংযোগ শাখা সূত্রে জানা যায়, নতুন দুজন করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্য ট্রাফিক উত্তর বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তারা ইতোপূর্বে শনাক্ত হওয়া সদস্যের সাথে একই ব্যারাকে থাকতেন। তাদেরকে বুধবার রাতে জেনারেল হাসপাতাল আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে।

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!