আনোয়ারা সদরের ইউনিয়ন পরিষদের নথি চুরি
চট্টগ্রামের আনোয়ারার একটি ইউনিয়ন পরিষদে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে উপজেলার ৭ নম্বর সদর ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় কাজ শেষ করে ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তা ও গ্রাম পুলিশ সদস্যরা পরিষদ ত্যাগ করেন। পরদিন সকালে দায়িত্বরত এক গ্রাম পুলিশ সদস্য অফিস কক্ষের তালা খুলতে গিয়ে দেখতে পান, তালা ভাঙা।
পরে দেখা যায়, পরিষদের চেয়ারম্যানের অফিস রুম এবং সার্ভার রুমের তালা ভেঙে চোরেরা ঢুকে লুটপাট করে।
চুরির ঘটনায় পরিষদ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ডকুমেন্ট, একটি কম্পিউটার, টিভি মনিটর, ডিভি বক্সসহ সচিবের নগদ ১২০০ টাকা এবং উদ্যোক্তার ৭০০ টাকা লুট করে নিয়ে যায় চোরেরা।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ সদস্য মো. বাবুল জানান, সকালে পরিষদে এসে দেখি বিভিন্ন রুমে তালা ভাঙা। সাথে সাথে সচিব, ইউপি সদস্যসহ সকলকে বিষয়টি জানাই। এরপর তাদের পরামর্শে আনোয়ারা থানার কর্তব্যরত ডিউটি অফিসারকে অবহিত করি।
আনোয়ারা ৪ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সুমন মিত্র বলেন, খবর পেয়ে এসে দেখি ইউনিয়ন পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট লুটপাট হয়েছে। থানার পাশে এমন ঘটনায় আমরা শংকিত।
বিলপুর ৮ নম্বর ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য রাজু দাশ গুপ্ত জানান, সকালে পরিষদে এসে দেখি অফিস রুম, চেয়ারম্যান এর কক্ষ ও সার্ভার রুমের তালা ভেঙে নথিপত্রসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট লুট করে নিয়ে গেছে। বিষয়টি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত বলে আমরা মনে করছি।
ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মো. হামিম জানান, সকালে এসে দেখি অফিসের তালা ভাঙা। পরে অন্য কক্ষে গিয়ে দেখি, সেখানে ও লুটপাট করে ভেঙে তছনছ করেছে। নিখোঁজ রয়েছে কম্পিউটারের দুটি মনিটর, হার্ডডিস্ক, সিসি ক্যামেরার ডিভিডি, নগদ টাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ নথি।
ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. শাহ আলম জানান, কম্পিউটারে গুরুত্বপূর্ণ নথি ছিল। এছাড়াও গত মাসের গুরুত্বপূর্ণ অনেক ওয়ারিশ সনদ ছিল, হিসেবের টাকাও ছিলো। সব লুট হয়ে গেছে। থানার পাশে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি অফিসে এভাবে চুরির ঘটনা উদ্বেগজনক।
তবে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জড়িতদের ধরতে কাজ করছে বলে জানান আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন।
ডিজে
