‘আনন্দ-অশ্রুতে বিদায়ের সুর’ মণ্ডপে মণ্ডপে, হৃদয়ে বিসর্জনের ব্যথা

আজ দশমী। মণ্ডপে মণ্ডপে বিদায়ের সুর। অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তির বিজয়ে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোন প্রকার র‍্যালী, আলোচনা সভ, গান বাজনা, সিধুর খেলা বা রং দিয়ে কোন প্রকার ছুড়াছুড়ি ছাড়াই প্রতিমা বিসর্জন হবে এবার। সোমবার (২৬ অক্টোবর) দশমী উপলক্ষে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

করোনা ভাইরাসের কারণে দুর্গাপূজা সীমিত পরিসরে উদযাপন করা হয়েছে এবার। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই প্রতিমা বিসর্জনের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ। জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রসাদ বিতরণ ও বিজয়া দশমীর শোভাযাত্রাও নিষিদ্ধ করা হয় এবার। প্রতিমা বিসর্জনের সময়ও কম সংখ্যক লোক সমাগমের নিদর্শনা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নিখিল কুমার নাথ বলেন, ‘করোনার মহামারির কারণে সরকার যে বিধিনিষেধ দিয়েছে সেটা মেনেই আমরা পূজার আয়োজন করেছি। সোমবার (২৬ অক্টোবর) দশমী উপলক্ষে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাও যানজট বা পূজা সম্পূর্ণ না হলে এক-দুই ঘন্টা সময় লাগতে পারে। এবার একদম কম মানুষ নিয়ে বিসর্জন দেওয়া হবে। ট্রাকে যাতে বেশি মানুষ না উঠে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিসর্জনের সময়ও ১০ জনের বেশি নামতে নিষেধ করার হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিসর্জনের সময় কোনো প্রকার র‍্যালী করা যাবে না। ফতেয়াবাদ এলাকায় আমাদের বড় র‍্যালী হতো। সেটাও এবার হচ্ছে না। এবার আলোচনা সভা, গান বাজনা কিছুই হচ্ছে না। সে সাথে সিধুর খেলা বা রং দিয়ে কোন উৎসব হয়নি। শুধুমাত্র সীবিচ বা স্ব স্ব বিসর্জন ঘাটে গিয়ে বিসর্জন দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’

চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন তালুকদার বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগরে ২৭৩ টি মণ্ডপ স্থাপন করা হয়েছে। সরকারি বিধিনিষেধ, সামজিক দূরত্ব মেনে এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে আমরা পূজার আয়োজন করেছি। দেবী এবার এসেছেন দোলায় চড়ে, যাবেন গজে চড়ে। মণ্ডপে মণ্ডপে আজ বিদায়ের সুর, বিসর্জনের ব্যথা।’

সনাতনী সম্প্রদায়ের যুব নেতা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা দেবাশীষ আচার্য্য চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘সনাতন সম্প্রদায়ের সবচে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজাকে সামনে রেখেই সপ্তাহব্যাপী প্রতিটি ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ থাকে। আনন্দের পূজার পর দশমীতে মা দূর্গাকে বিদায় অনেক বেদনার ও অশ্রুময়।

সোমবার সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এবারও দূর্গা বিসর্জন করা হবে সীবিচ, কালুরঘাট, নেভাল, অভয়মিত্রঘাট, কর্ণফুলী, বোয়ালপাড়া বিভিন্ন স্থানে।

আরএ/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!