চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বৈলছড়ি ইউনিয়নের চেচুরিয়া গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা না মেনে জায়গা দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) বাঁশখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে অবৈধ দখলদার দুস্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ থানায় ফিরলে দুস্কৃতিকারীরা কৌশলে আবারও বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। অবশ্য পুলিশ বলছে তারা কাজ বন্ধ রেখেছে। এই নিয়ে অসহায় জায়গার মালিকরা দুস্কৃতিকারীদের নানামুখি হুমকিতে আতংকে আছেন।
চট্টগ্রাম অতিরিক্ত হাকিম আদালতে দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ দখলদাররা হলেন আহমদ হোসেনের ছেলে মনির আহমদ, রেয়াজ উদ্দিন, মো. করিমসহ আরও ৫/৬ জন।
চট্টগ্রাম অতিরিক্ত হাকিম আদালতের মিছ মামলা (৯৮২/২০২০) সূত্রে জানা গেছে, বাঁশখালীর বৈলছড়ি ইউনিয়নের চেচুরিয়া গ্রামের আলী বার্বুচির বাড়ি এলাকার মজু মিয়ার ছেলে নুরুল আলম মৌরশী মূলে ১১ শতক জায়গার মালিক। জায়গাটিতে স্থানীয় আহমদ হোসেনের ছেলে মনির আহমদ, রেয়াজ উদ্দিন, মো. করিম জোরপূর্বক দখল করে বাড়ি নির্মাণ ও ঘেরা-বেড়া দিতে থাকে। তারা ওই কাজে স্থানীয় আরও ৫/৬ জন সন্ত্রাসীকে ব্যবহার করেছে।
ঘটনার পর নুরুল আলম বাদি হয়ে গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রাম হাকিম আদালতে ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন। আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে ওই জায়গার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। ওই নিষেধাজ্ঞা আদেশ আদালত থেকে বাঁশখালী থানায় পাঠানো হয়। থানা পুলিশ অবৈধ দখলদারদের আদালতের আদেশ নামা পৌঁছিয়ে দেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পরও অবৈধ দখলদাররা বাড়ি নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
বাঁশখালী থানার এসআই প্রদীপ চক্রবর্তী বলেন, ‘অবৈধ দখলদাররা কাজ চালানোর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। দুইপক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসার নির্দেশ দিয়েছি।’
বাদীপক্ষের আইনজীবী ফিরোজুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘অবৈধ দখলদাররা আদালতের আদেশ অমান্য করে বির্তকিত জায়গায় বাড়ি নির্মাণ কাজ করে ঠিক করেনি। এটা আদালতকে অমান্য করা।’
এএইচ