আগ্রাবাদের সাদিয়াস কিচেন ও জামানে মিললো পঁচা ও বাসি খাবার‍!

মোট ৯ প্রতিষ্ঠানকে সোয়া লাখ টাকা জরিমানা

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকার হোটেল জামান’স ও সাদিয়া’স কিচেনকে বাসি, খোলা ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার পরিবেশনের দায়ে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রোববার (৩ নভেম্বর) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার তদারকিমূলক অভিযানে এ জরিমানা করা হয়।

এপিবিএন-৯ এর সহযোগিতায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শাহিদা ফাতেমা চৌধুরী, সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) বিকাশ চন্দ্র দাস এবং চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।

চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, নগরের আগ্রাবাদ এলাকার হোটেল জামানকে উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদোত্তীর্ণ দই বিক্রি, ফ্রিজে খোলা অবস্থায় বাসি খাবার সংরক্ষণ করায় ৫০ হাজার টাকা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ব্রেড ব্যবহার করে বার্গার তৈরি করায় সাদিয়া’স কিচেনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ডবলমুরিং, খুলশী, চকবাজার, চান্দগাঁও, বায়েজিদ ও পাঁচলাইশ থানার বিভিন্ন এলাকায় তদারকিমূলক অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। ৯ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় ১ লাখ ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় অননুমোদিত রং, হাইড্রোজ, নকল চেরি, মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য, আইসক্রিম, কাটা ওষুধ ও বাসি খাবার ধ্বংস করা হয়।

পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করায় খাজা স্টোরকে ৫ হাজার টাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করায় রোকেয়া ফার্মেসিকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অননুমোদিত কৃত্রিম রং, উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ছাড়া আইসক্রিম বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করায় নগরের ২ নম্বর গেইট মসজিদ গলির জেএস স্টোরকে ১০ হাজার টাকা, একই অপরাধে চকবাজারের আল মদিনা স্টোরকে ১৫ হাজার এবং তালুকদার স্টোরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দ্য চিটাগং বেকারিকে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

হজরত মামুন খলিফা স্টোরকে মেয়াদবিহীন পণ্য বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়েছে।

এইচটি/ এস বি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!