আকবরশাহ রেল হাউজিং সোসাইটিতে বেড়েছে যত্রতত্র বড় বড় কাভার্ডভ্যান পার্কিং। এতে প্রায়ই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। চলাচলের রাস্তায় বড় গাড়ি পার্কিংয়ের ফলে হাউজিংয়ে বসবাসরত বাসিন্দাদের অনেক সময় গাড়ি নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে বেগ পেতে হয়। এছাড়া পার্কিংয়ে থাকার কারণে বড় গাড়ির পেছনে থাকা গাড়িও অনেক সময় চোখ এড়ায় বিপরীত দিক থেকে আসা অন্য গাড়ির চালকদের। অথচ নিয়ম অনুসারে হাউজিংয়ে এ ধরনের কাভার্ডভ্যান রাখার কোনো নিয়ম নেই। এভাবে প্রায় তিন দিন ধরে একটি কাভার্ডভ্যান রেখে উধাও চালককে ফোন দিয়ে ডেকে আনে পুলিশ এবং সেটি সরিয়ে নেয়।
রোববার (৩ নভেম্বর) পুলিশের সহায়তায় এ কাভার্ডভ্যানটি সরানো হয়। তবে এর আগে গত শুক্রবার থেকে সেই কাভার্ডভ্যানটি পার্কিং করে রাখা হয় হাউজিংয়ের প্রবেশমুখে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় সময় এ ধরনের কাভার্ডভ্যান হাউজিংয়ের গলির মুখে কে বা কারা রেখে যান। যেটি পড়ে থাকে ২-৩ দিন ধরে। এতে করে গাড়ি চলাচলে বেগ পেতে হয়। হাউজিংয়ের প্রবেশমুখের কালভার্টের অংশটি একটু উঁচু হওয়ায় অনেক সময় বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ি দেখতে পান না অন্যপ্রান্তের গাড়িচালক ও পথচারীরা। ফলে প্রায় মানুষের গায়ে সিএনজি ও অটোরিকশার ধাক্কা লাগে। এছাড়া একইসঙ্গে হাউজিংয়ের প্রবেশমুখের সামনেই বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ হকারের জন্য পথচারী ও বাসিন্দাদের যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হয়। পরে পুলিশে খবর দিলে তারা এসে কাভার্ডভ্যান চালককে ফোন দেয়। পরে আকবরশাহ থানার এএসআই সুবল কান্তি নাথ গিয়ে গাড়িটি সরিয়ে নেন।
গাড়িটি কার এবং কেন এখানে প্রায় কাভার্র্ডভ্যান পার্কিং করা হচ্ছে—জানতে চাইলে ভ্যানমালিক পেয়ার আলী ব্যস্ত আছেন বলে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোজিনা খাতুন বলেন, ‘আমি অসুস্থ। শনিবার রাতে অভিযোগ পেয়ে কাভার্ডভ্যান সরাতে পুলিশকে বলে দিয়েছিলাম।’
জেএস/ডিজে