আওয়ামী লীগ নেতাকে ছুরিকাঘাত পেকুয়ায়

কক্সবাজারের পেকুয়ায় জায়গার বিরোধের জেরে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। একই ঘটনায় ৩ মাছ ব্যবসায়ীসহ ৪ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের পূর্বজালিয়াকাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- ওই এলাকার নওশা মিয়ার ছেলে বাহাদুর (৪০), তার ছোট ভাই আবদুল আলীম (৩৬), ভাতিজা সাচি মিয়ার ছেলে রিদুয়ানুল হক (২৬) ও চাচা মৃত আবদুল সাত্তারের ছেলে মোক্তার হোসেন (১৮)।

আহতরা পেকুয়া বাজারের মাছ ব্যবসায়ী বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এদের মধ্যে বাহাদুর বারবাকিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পেকুয়া বাজার মৎস্য আড়তদার।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৬ শতক জায়গা নিয়ে মো. বাহাদুর ও প্রতিবেশি মৃত আবদুল সাত্তারের ছেলে শের আলী গংদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।

বাহাদুর বলেন, বসতভিটার পৈত্রিক অংশ থেকে মোক্তার হোছেন তার মা হোছনে আরা বেগম ও ফুফি দিলুয়ারার কাছ থেকে ৬ শতক জায়গা খরিদ করতে বায়নানামা সম্পাদন করি। জমির টাকাও পরিশোধ করা হয়েছে। ওই জায়গায় মাটি ভরাট কাজ করছিলাম। সন্ধ্যায় শের আলী গং সেখানে অনুপ্রবেশ করে খুঁটি পুতে দেয়। এ সময় বিক্রেতা মোক্তার হোছন প্রতিবাদ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শের আলী গং তাকে মারধর করে। আমি নিবৃত করার চেষ্টা করলে শের আলী, তার ছেলে আবু তাহের, গুরা পুতু ও নুরুল হোছাইন ২ জনকে ছুরিকাঘাত ও পিটিয়ে জখম করে। এ সময় আমাদের চিৎকারে ভাই আবদুল আলিম ও রিদুয়ানুল হক উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে আহত করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী রুবিনা আক্তার জানায়, উভয়পক্ষই নিকট আত্মীয়। মোক্তার হোছেন ও শের আলী সৎ ভাই। বাহাদুরকে মাথা ও পায়ে ছুরিকাঘাত আর অন্যদের মারধর করা হয়েছে।

পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, মারামারির ঘটনায় আহত চারজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের মাথায় ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। বাকিদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়েছে। সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, আহতদের চিকিৎসা নিতে বলেছি। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসবি/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!