চট্টগ্রামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পাশে বসিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নগর ছাত্রদলের সাবেক এক নেতা। এমন ঘটনায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হয়েছেন সমালোচনামুখর। এমন ঘটনায় বিব্রত বিএনপি নেতারাও। সাংবাদিকরা এ সময় ওই নেতাকে আওয়ামী লীগ নেতার বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর না দিয়ে তড়িঘড়ি করে সংবাদ সম্মেলন ছেড়ে চলে যান।

সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের ওপর হামলার ইন্ধন দেওয়া ছাড়াও বিভিন্ন ঘটনায় সমালোচিত এই ছাত্রদল নেতা হলেন সৌরভ প্রিয় পাল। মামলায় বারবার সময় চেয়ে আবেদন করে যাওয়ায় গত ২৮ মে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ষষ্ঠ আদালতের বিচারক এসএম আলাউদ্দিন মাহমুদ অভিযুক্ত সৌরভপ্রিয় পালের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে চট্টগ্রামের সাংবাদিক নেতারা অভিযোগ করেন, সাবেক ছাত্রদল নেতা সৌরভপ্রিয় পালের নির্দেশে তার অনুসারীরা গত ১ মে একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের সিনিয়র সাংবাদিকদের ওপর পূর্ব পরিকল্পিত হামলায় অংশ নেন। এ বিষয়ে তারা ইতিমধ্যে বিস্তারিত তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছেন বলেও জানান।
জানা গেছে, বুধবার (১৮ জুন) শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী পরিষদ বাংলাদেশের প্যাড ব্যবহার করে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন ছাত্রদলের সাবেক নেতা সৌরভ প্রিয় পাল। সেই প্যাডে তিনি নিজেকে আজীবন সদস্য হিসেবে পরিচয় দেন। তবে শুধুমাত্র একজন আজীবন সদস্য হয়ে এমন সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা যায় কিনা— সেই প্রশ্ন উঠেছে। যাকে নিয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন, সেই আওয়ামী লীগ নেতা রাজীব কান্তি দে শম্ভু চট্টগ্রাম নগরের কাপাসগোলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক। তিনি সাবেক ছাত্রদল নেতা হিসেবে পরিচয় দেওয়া বাপ্পি দের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়।
জানা গেছে, সৌরভ প্রিয় পাল ২০২০ সালে ঘোষিত নগর ছাত্রদলের কমিটির ‘তিনদিনের’ সহ-সভাপতি। এরপর কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। তখনকার প্রায় ৬০০ জনকে নিয়ে গঠিত ছাত্রদলের ওই কমিটি ‘সবাইকে খুশি করার কমিটি’ বলে ওই সময় সমালোচনার মুখে পড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার ওয়ার্ডের কাপাসগোলা ইউনিট আওয়ামী লীগের অনুমোদিত কমিটির দপ্তর সম্পাদক রাজীব কান্তি দে শম্ভু উপস্থিত ছিলেন বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে। তাকে পাশে বসিয়ে সনাতনী নেতাদের ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ হিসেবে তকমা দেন সৌরভপ্রিয়। শম্ভুর পাশে ছিলেন ছাত্রদলের সাবেক নেতা হিসেবে পরিচয় দেওয়া হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংঠনিক সম্পাদক আকবরশাহ এলাকার অপু চৌধুরী আকাশ এবং হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যান ফ্রন্ট চট্টগ্রাম মহানগরের সদস্য সচিব চকবাজার এলাকার বাপ্পী দে।
আকবরশাহ এলাকার অপু চৌধুরী আকাশ ও চকবাজারের বাপ্পি দের বিরুদ্ধে বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে সনাতনী সমাজের লোকজনকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ বলেন, ‘তিনি (সৌরভ প্রিয়) ছাত্রদলের রাজিনীতির সঙ্গে জড়িত। জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ ধর্মীয় বিষয়। তিনি যদি সনাতনীদের ধর্মীয় বিষয়ে বিএনপির নাম ব্যবহার করে, তাহলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সৌরভ প্রিয় পালকে একাধিকবার কল করা হলেও তার সাড়া মেলেনি।
আওয়ামী লীগ নেতাকে পাশে বসিয়ে সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংঠনিক সম্পাদক অপু চৌধুরী আকাশ বলেন, ‘আমি জানতাম না সেখানে আওয়ামী লীগের কেউ ছিল। আমি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য কল্যাণ ফ্রন্ট চট্টগ্রাম বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। সেই হিসেবে আমি আমন্ত্রণ পেয়েছি। আমি একজন বিএনপিপন্থী হিসেবে এতটুকু বলব, একজন আওয়ামী লীগের দোসরের সাথে এক কাপ চাও খাওয়া সম্ভব না। সেখানে সংবাদ সম্মেলনে বসা অসম্ভব।’
আওয়ামী লীগ নেতা রাজীব কান্তি দে শম্ভুকে পাশে বসিয়ে সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট চট্টগ্রাম মহানগরের সদস্য সচিব বাপ্পি দে বলেন, ‘রাজিব কান্তি দে শম্ভু আমার দুঃসম্পর্কের বোনের স্বামী। আমি জানতাম না তিনি আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা। আমি জানতাম, তিনি ধর্মীয় সংগঠন করেন। আজ বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সে হিসেবে তাকেও দাওয়াত দেওয়া হয়। এখানে কারও রাজনৈতিক পরিচয় জানা সম্ভব ছিল না।’
এ বিষয় জানতে নগরের কাপাসগোলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রাজীব কান্তি দে শম্ভুকে ফোন করা হলে আওয়ামী লীগের পদ-পদবি বিষয়ে প্রশ্ন করা মাত্রই তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন দেন। এরপর একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জন্মাষ্টমী পরিষদের নিন্দা ও প্রতিবাদ
১৮ জুন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ছাত্রদল নেতা সৌরভ প্রিয় পালের সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ। বুধবার (১৮ জুন) রাতে সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক বেন্টন কান্তি নাথ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিবৃতিতে নেবৃবৃন্দ বলেন, শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ সনাতনীদের অধিকার আদায়ের অন্যতম একটি সংগঠন। বাংলার ১৩৯০ সালে চট্টগ্রাম থেকে যাত্রা করা সংগঠনটি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। এই সংগঠনের উদ্যোগে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি জন্মাষ্টমীতে সরকারি এক দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়। জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে সাবেক ফাস্ট লেডি রওশন এরশাদ, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন সরকারের উচ্চপদস্থ নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করতেন। এই সংগঠন কোনো সময় রাজনৈতিক দলের নিয়ন্ত্রণে ছিল না। বরং যে সরকার ক্ষমতায় থাকতো তাদের সঙ্গে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাংগঠনিক সৌহার্দ্য সম্পর্ক বিদ্যামান। ফলে সারাদেশে এই সংগঠনের একটি আলাদা গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এই সংগঠনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনুসারী থাকতে পারে। কিন্তু কোনোদিন রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে এই সংগঠন ব্যবহৃত হয়নি।
নেতৃবৃৃন্দ আরও বলেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সনাতনীদেরকে সাথে নিয়ে আগামীর পথ চলার ঘোষণা দেন। সনাতনীরাও ওনার বক্তব্য শুনে অনুপ্রাণিত হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অধিবেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সেই নির্বাচনে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে লায়ন আর কে দাশ রুপু নির্বাচিত হন। সেই নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে ‘হ্যাঁ-না’ ভোটে পরাজিত হন সৌরভ প্রিয় পাল। এরপর সৌরভ প্রিয় পালের অনুসারীরা ক্ষিপ্ত হয় এবং তার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনারদের অপদস্থ করা হয়। যা সনাতনী সমাজে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। কারণ জন্মাষ্টমীর পরিষদের কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রমে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা নজিরবিহীন। যা বিএনপির দলীয় ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, এমনটাই মনে করে পরিষদ।
এরপর গত ২৭ মে উদ্ভট পরিস্থিতি বিবেচনায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন আন্তরিকতার সাথে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলেন এবং নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী কমিটিকে অর্থাৎ চন্দন তালুকদার ও আর কে দাশ রুপুকে দায়িত্ব হস্তান্তরের জন্য বিগত কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী প্রবীর সেনকে পরামর্শ দেন। সেই পরামর্শ অনুযায়ী এবং গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে পরিষদের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের পরামর্শ মতে সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার সেন সকল দাপ্তরিক কাগজপত্র নতুন সাধারণ সম্পাদক আর কে দাশ রুপুকে হস্তান্তরের পর ৯১ সদস্যের কার্যকরী কমিটি (আংশিক) এবং ৪৯ জনের উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ফলে সনাতনীদের প্রিয় সংগঠন শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশের প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরে পেয়েছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত না। কোনো পদপদবিতেও নেই তারা। তারপরও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের ছবি ব্যবহার করে নানা ষড়যন্ত্র করেছে সৌরভ প্রিয় পাল। যা সনাতনীদের সঙ্গে চরম অবহেলা এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির পাঁয়তারার অংশ। আর শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ একটি অরাজনৈতিক এবং সনাতনী সংগঠন। এখানে দলীয় প্রভাব সৃষ্টি করার কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া আলিফ হত্যার বিষয়টি অহেতুক টেনে এনে তিনি হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের ভ্রাতৃত্বে বন্ধন নষ্ট করার পায়ঁতারা চালাচ্ছে। যা সনাতনী সম্প্রদায়কে সাম্প্রদায়িক আঘাতের পরিকল্পিত নীলনকশার সামিল। কারণ আলিফ হত্যা মামলার সঙ্গে শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশের নতুন কমিটির কারোই প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ কোনো সম্পর্ক নেই।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন হয়েছে এবং নতুন কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করে সংগঠন পরিচালনা করছে। এখানে রাজনৈতিক ইস্যু টেনে আনা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। ফলে ছাত্রদলের সাবেক নেতা সৌরভ প্রিয় পালের এমন কর্মকাণ্ডে বিএনপির দলীয় সুনামহানি এবং সনাতনী সমাজের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা সনাতনীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আবার সৌরভ প্রিয় পালের মতো মানুষ দলীয় নাম ভাঙিয়ে, ভয় দেখিয়ে সনাতনীদেরকে আওয়ামী লীগ আখ্যায়িত করে, সনাতনী বিভিন্ন সংগঠনের পদপদবি দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, সৌরভ প্রিয় পাল সবাইকে ফ্যাসিস্ট ট্যাগ দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। আবার সেই সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার ওয়ার্ডের কাপাসগোলা ইউনিট আওয়ামী লীগে অনুমোদিত কমিটির দপ্তর সম্পাদক রাজীব কান্তি দে শম্ভু ও চসিকের সাবেক কাউন্সিলর জহরলাল হাজারীর অনুসারী আওয়ামী লীগ নেতা রাধা শ্যাম আচার্যকে পাশে বসিয়ে সনাতনীদের সর্ববৃহৎ সংগঠনের বিরুদ্ধে এমন চক্রান্ত, শুধুই নিন্দাজনক নয় বরং নীতিগর্হিত ও নীলনকশার সামিল। তিনি একদিকে ফ্যাসিস্টদেরকে নিয়ে ধর্মীয় সংগঠন দখলের হীনপ্রচেষ্টা চালাচ্ছেন আবার নিজেই জন্মাষ্টামীর দুই নেতাকে ফ্যাসিস্টে তকমার পাঁয়তারা চালাচ্ছেন।
তারা আরও বলেন, শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী পরিষদ বাংলাদেশের প্যাড ব্যবহার করে, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ডেকে, বিএনপির নাম ভাঙিয়ে, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের তিনদিন মেয়াদের ‘বিলুপ্ত ও প্রশ্নবিদ্ধ’ কমিটির সাবেক সহ সভাপতি সৌরভ প্রিয় পাল। তিনি কিছু দুর্বৃত্তদের সঙ্গে নিয়ে, সনাতনীদের প্রাণের সংগঠন জন্মাষ্টমী পরিষদের বিরুদ্ধে অযাচিত মন্তব্য, কমিটির নেতাকে খুনি অ্যাখ্যায়িত করে জঘন্য মিথ্যাচার, সনাতনীদের ধর্ম ও অস্তিত্বকে চরমভাবে আঘাত করেছেন। চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের ‘তিনদিন মেয়াদের কমিটির’ সাবেক নেতা সৌরভ প্রিয় পাল শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী পরিষদ বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক পদলোভী— তার এমন অপকর্মের বিরুদ্ধে শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটি তাৎক্ষণিক নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সৌরভ প্রিয় পালকে দলীয় সাংগঠনিক শাস্তির আওতায় না আনলে, সনাতনী সমাজ আন্দোলনের মাঠে নামতে বাধ্য হবে।