‘আঁরা চিটাইঙ্গ্যা মাইয়া, আঁরারে দোয়া গইজ্জুন। অনঅরা সমর্থন দিলি, আঁরা আরও এগুইত পাইজ্জুম। (আমরা চট্টগ্রামের মেয়ে, আমাদের দোয়া করবেন। আপনারা সমর্থন দিলে, আমরা আরও এগোতে পারবো)।’
চট্টগ্রাম নগরীর জামালখানে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কথাগুলো বলেন সাফ ফুটবলে সেরা গোলরক্ষক ঋতুপর্ণা চাকমা।
ঋতুপর্ণা আরও বলেন, ‘অনেকদিন পরে আমি চট্টগ্রাম শহরে এসেছি। এসে খুবই ভাল লাগছে, আনন্দ লাগছে। বিশেষ করে দৈনিক আজাদীকে ধন্যবাদ। আমি আবেগে আপ্লুত, কথা বলা ভাষা নেই। ভক্তরা আমাদের পাশে আছে। ভবিষ্যতেও আমাদের পাশে থাকবে। আপনাদের সীমাহীন সমর্থন আমাদের আরও এগিয়ে নেবে। এতে আমাদের সাহস আরও দৃঢ় হবে।’
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বৃহত্তর চট্টগ্রামের বাসিন্দা সাফজয়ী পাঁচ নারী ফুটবলারকে সংবর্ধনার দেওয়া হয়। ‘আঁরার মাইয়া, আঁরার গর্ব’ শিরোনামে এ সংবর্ধনার আয়োজন করে দৈনিক আজাদী।
দক্ষিণ এশিয়া মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে (সাফ) অংশ নেওয়া বৃহত্তর চট্টগ্রামের পাঁচ ফুটবলারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান কানায় কানায় পূর্ণ ছিল দর্শনার্থীতে।
সংবর্ধিত খেলোয়াড়রা হলেন রাঙামাটির রূপনা চাকমা ও ঋতুপর্ণা চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলার মনিকা চাকমা, আনাই মগিনী ও আনুচিং মগিনী।
সকালে তাদের চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান আজাদী পরিবারের সদস্যরা। বিকাল ৪টার দিকে চট্টগ্রাম ক্লাব থেকে তাদের বহনকারী খোলা ছাদের জিপ এসে পৌঁছে জামালখান মোড়ে।
আসরের আজানের বিরতির পরই জাতীয় সংগীত দিয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। ফুলের মালায় গলায় পরানো হয় বীরকন্যাদের।
আজাদী সম্পাদক এমএ মালেকের সভাপতিত্বে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, দৈনিক আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক, চিফ রিপোর্টার হাসান আকবর, জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন।
অনুষ্ঠানে তাদের হাতে সম্মাননা চেক তুলে দেন অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সদস্য মনজুর আলম মনজুর বলেন, ‘একটি শিরোপা বড় দরকার ছিল বাংলাদেশের। সেই শিরোপা এনে দিয়েছে মহিলা ফুটবল দল। সাফ টুর্নামেন্টে মেয়েরা ২৫টি গোল দিয়েছে। বিপরীতে খেয়েছে মাত্র একটি। তারা বাঘের মতো জিতেছে।’
দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এমএ মালেক বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা আমাদের গর্ব। আপনারা যারা উপস্থিত আছেন, সবাই প্রধান অতিথি। চট্টগ্রামের মেয়েরা সাফ ফুটবল জিতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে। তাই আমাদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করে তাদের সংবর্ধনার আয়োজন করেছি। তাদের সম্মানিত করে আমরা সম্মানিত হলাম। এতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হবে।’
এএস/ডিজে