অস্ত্র হাতে গরুর বাজার দখলে গেল পাঁচলাইশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, আটক ৩

চট্টগ্রামের মুরাদপুর বিবিরহাট গরুর বাজারের দখল নিতে পাঁচলাইশ থানা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মো. হোসেন রবিন ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা ফিরোজ খানের গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে গরুর বাজার থেকে হাতেনাতে তিন জনকে আটক করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। এসময় ১৮ টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। আটককৃতদের সবাই ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা যায়।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দিবাগত রাত ১ টার দিকে মুরাদপুর হামজারবাগ রহমানিয়া স্কুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. ফয়সাল, কিরন ও মিনহাজ নামে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ১৮ টি দেশীয় অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে ফয়সাল ও মিনহাজ রবিনের অনুসারী ও কিরন যুবলীগ নেতা ফিরোজের অনুসারী বলে জানা যায়।

আটককৃতদের নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে এবং বাকি অস্ত্র ও আসামিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানায় পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।

স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, পাঁচলাইশ থানা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মো. হোসেন রবিন ও যুবলীগ নেতা ফিরোজ খান গরুর বাজারের খুঁটি দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠে। এরপর উভয় গ্রুপই ৪০-৫০ জনের দল অস্ত্রনিয়ে গরুর বাজারের খুঁটির দখল নিতে শো-ডাউন দেয়, এতে গরু ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হয়। এই শো-ডাউন দেওয়ার সময় উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

তাৎক্ষনিক পাঁচলাইশ থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে। এসময় বাকিরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।

তবে ঘটনার বিষয়ে জানতে পাঁচলাইশ থানা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রবিনকে একাধিকবার ফোন দিলেও একবার রিসিভ করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

আটকের বিষয়টি স্বীকার করে পাঁচলাইশ থানার ডিউটি অফিসার এস আই ইমাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, গরুর বাজারকে কেন্দ্র করে একটি গ্রুপ শো-ডাউন দেয়। আমরা তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক ও ১৮ টি অস্ত্র উদ্ধার করি।

বিএস/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!