অসম্পূর্ণ আবেদন, পটিয়ায় মনোনয়ন হারালেন ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী

চট্টগ্রামের পটিয়ায় ১৭টি ইউনিয়নের আসন্ন নির্বাচনে ৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে আছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩জন, সাধারণ সদস্য ৩জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য ২জন।

সোমবার (২৯ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মনোনয়ন ফরম যাচাই-বাছাই শেষে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরাফাত আল হোসাইনী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন, ছনহরা ইউপির ইসলামী আন্দোলনের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আইয়ুব, কাশিয়াইশ ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ কাইছ ও কুসুমপুরা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকারিয়া ডালিম।

এছাড়া সদস্য পদে কুসুমপুরা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের আবু তৈয়ব, কেলিশহর ইউনিয়নের ৬ ওয়ার্ডের মোহাম্মদ রফিক এবং ৯ নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ খোরশেদ, হাইদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের তসলিমা নুর, হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের শারমিন আকতারের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, দলীয় কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মোহাম্মদ আইয়ুবের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। আর ঋণ খেলাপি হওয়ায় বাতিল হয়েছে কাশিয়াইশ ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ কাইছের মনোনয়ন।

এছাড়া আয়কর রির্টানের সত্যায়িত কপি দেখাতে না পারায় কুসুমপুরা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকারিয়া ডালিমের মনোনয়ন বাতিল করেন নির্বাচন অফিস।

এদিকে বড়লিয়া ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুল ইসলাম সানু এবং শোভনদণ্ডী ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এহছানুল হক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। তাঁরা দুজনই স্ব স্ব ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান।

পটিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরাফাত আল হোসাইনী জানান, উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত ১৭ জন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪৩ জন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছিলেন। সাধারণ সদস্য পদে ৬১৬ জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৪১ জন মনোনয়ন ফরম জমা দেন। সোমবার যাচাই-বাছাই শেষে ৩ জন চেয়ারম্যান, ২ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য এবং ৩ জন সাধারণ সদস্যের মনোনয়ন ফরম বাতিল করা হয়েছে।

বাছাই শেষে ৫৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ৬১৩ জন সাধারণ সদস্য ও ১৩৯ জন সংরক্ষিত নারী সদস্যের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন নির্বাচন অফিস।

৩০ নভেম্বর (মঙ্গলবার) থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাদ পড়া প্রার্থীরা আপিল করতে পারবেন। আপিল নিষ্পত্তি ৩ ডিসেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৬ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ৭ ডিসেম্বর। ভোটগ্রহণ ২৬ ডিসেম্বর। উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে কুসুমপুর ও হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নে ইভিএম পদ্ধতিতে এবং বাকি ১৫টি ইউনিয়নে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ হবে।


কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!