চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার এলাকায় সকাল থেকেই শুরু হয় মাছ বেচাকেনার ধুম। সেখানে কোন সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই। সরকারি আদেশ নিয়ে তোয়াক্কা করছে না সোনালী যান্ত্রিক মৎস্য সমবায় সমিতি।
ফিশারিঘাট এলাকার স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, করোনায় ঝুঁকি ঠেকাতে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও সোনালী যান্ত্রিক মৎস্য সমবায় সমিতি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ লোকসমাগম করেই বেচাকেনা চালিয়ে যাচ্ছেন। সংক্রমিত ব্যক্তি থাকলেই একসাথে অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।
বুধবার (২২ এপ্রিল) সকালে চাক্তাই নতুনবাজার এলাকায় ‘বঙ্গবন্ধু মৎস্য বাজার’ ও ‘বঙ্গবন্ধু ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার’ এ মাছ বাজারে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বাজারে পাইকারি ও খুচরা বিক্রয়ের ধুম পড়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমে ক্রমশ ভিড় তৈরি হয় বাজারে। দূরত্ব না মানা ওই ভিড়ে কোন করোনার কোন সতর্কতা নেই।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনালী যান্ত্রিক মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, ‘অন্য সময়ের তুলনায় এখন বাজারে ক্রেতা অনেক কম। এখানে মাছ কিনতে আসা লোকজন বলতে গেলে হয়নি। সকাল বেলা একটু বেশি ভিড় থাকে। বিকাল বেলা ক্রেতা কম থাকে।’
এ বিষয়ে বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সচেতন করার পরও দেখা যায় বেশির ভাগই মানুষ সেটা মানছে না। পুলিশের টহল টিম মাইক ও লিফলেট বিতরণসহ বাজার ও মার্কেটগুলো সচেতনমূলক প্রচার করা অব্যাহত রেখেছে। তারপরও বিষয়টি আমি দেখছি।’
মুআ/এসএস