অভিষেকে ‘অনুজ্জ্বল’ রাব্বি, চট্টগ্রামে আবারও মুশফিকের নড়বড়ে নব্বই

সাদা পোশাকে জাতীয় দলের অভিষেকে অনুজ্জ্বল যাত্রাই করলেন চট্টগ্রামের তরুণতুর্কী ইয়াসির আলী রাব্বি। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ইয়াসির আলী রাব্বির পরিসংখ্যানটা নেহায়েত মন্দ নয়। তবে অনেক প্রতীক্ষার পর যখন অবশেষে টেস্ট অভিষেক হলো, তাতে দেখা গেল না সে পরিসংখ্যানের ছাপ। হাসান আলীর বলে বোল্ড হলেন ব্যাট প্যাডের মাঝে বিরাট বড় ফাঁক রেখে। তাতে ঘরের মাঠে অভিষেকটা আর রাঙানো হলো না তার।

অভিষেক বলেই হয়তো, শুরুতে বেশ স্নায়ুচাপে পড়ে বেশ নড়বড়েই মনে হচ্ছিল তাকে। ১২তম বল খেলে ফেললেও তখনো তিনি খোলেননি রানের খাতা, হাসান আলীর ভেতরে ঢোকা বলটা মিস করে গিয়েছিলেন। তা গিয়ে আঘাত হেনেছিল স্টাম্পে। যদিও রিভিউতে দেখা গেছে, তা মিস করে গেছে লেগ স্টাম্পও, সে যাত্রায় তাই বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি।

১৪তম ডেলিভারিতে গিয়ে রানের খাতা খোলেন তিনি। প্রতিপক্ষ শিবিরের সেরা বোলার শাহিন আফ্রিদিকে দারুণ এক কভার ড্রাইভে চার মেরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বাউন্ডারি আর রানটা পেয়ে যান তিনি।

তবে ভুলটা করলেন এরপরের ওভারেই। হাসান আলীর বলটা ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল, ইয়াসির সেটা সামনের পায়ে খেলতে গিয়ে রেখে দিয়েছিলেন ব্যাট-প্যাডের মাঝে বিরাট এক ফাঁকা জায়গা। তাতেই ছত্রখান হয় তার স্টাম্প, অভিষেক ইনিংসটা থামে মাত্র চার রানেই।

অন্যদিকে, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তৃতীয়বারের মতো নব্বইয়ের ঘরে আউট হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ক্যারিয়ারে নড়বড়ে নব্বইতে চারবারের মধ্যে তিনবারই চট্টগ্রামের সাগরিকার এই স্টেডিয়ামে। যার সবশেষটি হলো আজ (শনিবার)।

ইনিংসের ৯৩তম ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে আউটসাইড এজ থেকে পাওয়া বাউন্ডারিতে ৮৭ থেকে ৯১ রানে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুশফিক। এরপর একের পর এক ডট খেলে টানা পাঁচ ওভারে আর রান করতে পারেননি তিনি। সেই ৯১ রানেই ১৪টি বল খেলেন মুশফিক।

দ্বিতীয় দিনে ৯৯তম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে আসেন ফাহিম আশরাফ। তার করা পঞ্চম ডেলিভারিটি ছিল হালকা রাইজিং ইনসুইঙ্গার। যেটি ডিফেন্ড করতে গিয়ে লাগে মুশফিকের ব্যাটের বাইরের কানায়। বোলার-ফিল্ডারদের আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার।

সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন মুশফিক। টিভি রিপ্লে’তে দেখা যায় বল যখন মুশফিকের ব্যাট অতিক্রম করছিল তখন তার ব্যাট প্যাডের সঙ্গেও লেগে ছিল। কিন্তু আল্ট্রাএজে স্পাইক দেখা যাওয়ায় মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন থার্ড আম্পায়ার গাজী সোহেল।

ফলে ৯১ রানেই থেমে যায় মুশফিকের ২২৫ বলে ইনিংস। ক্যারিয়ারে এর আগে ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৫, ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯৩ ও ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯২ রান করে আউট হয়েছিলেন মুশফিক। এর মধ্যে ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল চট্টগ্রামেই।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩০০ রান। এখন খেলছেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। এর আগে লিটন দাস ১১৪ ও অভিষিক্ত ইয়াসির আলি রাব্বি আউট হয়েছেন ৪ রান করে।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!