অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, মাতামুহুরীতে ৫টি ট্রাক জব্দ

কক্সবাজারের চকরিয়ার মাতামুহুরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে একশ্রেণির বালুখেকোর দল। তারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছে। এতে মাতামুহুরী নদীর তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতবাড়িসহ নানা স্থাপনা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করা হলেও থেমে থাকেনি বালু খেকোদের বালু বিক্রির রমরমা ব্যবসা।

তবে, এবার অনেকটা শক্ত অবস্থানে মাঠে নেমেছেন চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন। যেখানেই বালু উত্তোলনের সংবাদ পাচ্ছেন, সেখানেই উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।

এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১৪ নভেম্বর) শনিবার দুপুর বারটা থেকে দুইটা পর্যন্ত চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দিগরপানখালীর মাতামুহুরী তীর এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় নম্বরবিহীন পাঁচটি বালুভর্তি ডাম্পার (মিনিট্রাক) জব্দ করা হয়।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, মাতামুহুরী নদীর দিগরপানখালী পয়েন্ট থেকে দীর্ঘদিন থেকে বালি উত্তোলন করে আসছে একশ্রেণির অবৈধ বালু ব্যবসায়ীর দল। খবর পেয়ে শনিবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি। এ সময় পাঁচটি নম্বরবিহীন ডাম্পার (মিনিট্রাক) জব্দ করেছি। আইনগতভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

তিনি আরও বলেন, মাতামুহুরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে নদীর তীরবর্তী বসতবাড়ি থেকে শুরু করে নানা স্থাপনে বর্ষা মৌসুম আসলে নদীতে তলিয়ে যায়। তাই যেকোন উপায়ে এসব অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা টেকনিশিয়ান এরশাদুল হক, চকরিয়া থানা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!