আফগানিস্তানকে ৯ উইকেটে হারিয়ে চলতি বিশ্বকাপে প্রথম জয়ের দেখা পেল সাউথ আফ্রিকা। কার্ডিফে আসরে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে এসে পূর্ণ দুই পয়েন্টের মুখ দেখল ডু প্লেসিসের দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পরিত্যক্ত আগের ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে এদিন খেলতে নেমেছিল তারা।
শনিবার শুরুতে ব্যাট করে ৩৪.১ ওভারে মাত্র ১২৫ রানে অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। বৃষ্টি আইনে ১২৭ রানের লক্ষ্যে জবাব দিতে নেমে ২৮.৪ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে জয়ে নোঙর ফেলে প্রোটিয়ারা। হাশিম আমলা ও ডি কক উদ্বোধনীতে ১০৪ রান যোগ করেন। ডি কক ৬৮ করে ফিরলে ভাঙে জুটি। আমলা ৪১ ও ফেলুকোয়ও ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে নিজেদের ইনিংসে দ্বিতীয়বার বৃষ্টি শুরুর আগে ২ উইকেটে ৬৯ রান ছিল আফগানিস্তানের। পরে ৫৬ রান যোগ করতে শেষ ৮ উইকেট হারায় তারা। নয় নম্বরে নেমে ৩৫ রান করেন রশিদ খান। না হলে হয়তো একশ রানও হতো না। ইমরান তাহির একাই নেন ৪ উইকেট।
প্রথম দফা বৃষ্টির পর বিনা উইকেটে ৩৩ রান নিয়ে খেলতে নেমে ২০ ওভারে ২ উইকেটে ৬৯ রান তোলে আফগানিস্তান। দ্বিতীয় দফা বৃষ্টির কারণে ৪৮ ওভারের ম্যাচ নির্ধারণ করা হয়। খেলা শুরু হলে এক রান যোগ করতেই আফগানরা হারায় চার উইকেট।
প্রথমে হাসমতউল্লাহ শহীদী, ডু প্লেসিসের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর ইমরান তাহিরের স্পিনে ডাবল ব্রেক থ্রু। প্রথম ওভারের প্রথম বলে বোল্ড করেন নুর আলি জাদরানকে
বিপদে হাল ধরার জন্য আফগান দলে পরিচিত নাম মোহাম্মদ নবি। এবার তিনিও পরাস্ত হন। ফেলুকোয়ওর বলে আউট হন মাত্র ১ রানে। ৭৭ রানের মাথায় তাহির ফিরিয়ে দেন গুলবাদিন নায়েবকে।
অষ্টম উইকেটে ৩৪ রানের জুটি গড়েন ইকরাম খিল ও রশিদ খান। মরিসের বলে ইকরাম আউট হলে ১১১ রানে ৮ উইকেটের পতন ঘটে আফগানদের। রশিদ খান আউট হলে মাত্র ১২৫ রানে অলআউট হয়েছে আফগানরা।
এ নিয়ে বিশ্বকাপ আসরে চতুর্থ ম্যাচ আফগানিস্তানের। প্রতিটিতে হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে তারা। অপরদিকে, তিন ম্যাচ হারের পর বৃষ্টির কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার সুবাদে এক পয়েন্ট ছিল সাউথ আফ্রিকার। পঞ্চম ম্যাচে এসে প্রোটিয়াদের নামের পাশে ৩ পয়েন্ট।