সারাদিন অফিস করে বাসায় এসে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন জিহাদী হাসান (২০) নামে এক যুবক।
বুধবার (২ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডবলমুরিং থানার সৈয়দ আহমদের চেয়ারম্যানের বাড়ি ছাড়ানীড় সুলতান কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে। জিহাদী একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করত। তিনি যশোর বেনাপোল বন্দর থানার ১ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।
জিহাদীর অফিস কর্মকর্তা নবীকুল আলম মুঠোফোনে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, জিহাদ আজ সারাদিন অফিসে হাসি খুশিই ছিল। সবার ছোট বলে অফিসের সবাই তাকে স্নেহ করত। অফিস শেষ করে সে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় আগ্রাবাদ থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সুলতান কলোনিতে একটা ঘর ভাড়া করে অফিসের আরেকজন সহকর্মীর সাথে থাকত। বাসায় এসে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ঘরের দরজা লাগিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। পরে প্রতিবেশিরা টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আমরা জিহাদীর পরিবার সূত্রে জানতে পেরেছি, গ্রামের বাড়িতে কোন এক মেয়ের সাথে তার প্রেম ছিল। সম্ভবত তার সাথে ঝগড়া কিংবা মনোমালিন্যের জের ধরেই সে আত্মহত্যা করেছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপপুলিশ পরিদর্শক শীলাব্রত বড়ুযা জানান, গলায় ফাঁস লাগানো এক যুবককে রাত সাড়ে আটটার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আইএমই/এসএ