চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার করলডেঙ্গা পাহাড়ে আস্তানা করেছে সন্ত্রাসীরা। দিন দিন বাড়ছে তাদের আধিপত্য। পাহাড়ের লেবুবাগানের কাজ করা কৃষকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। মুক্তিপণ দিলে তবেই ছেড়ে দেওয়া হয় তাদের।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সকালে বোয়ালখালী উপজেলার করলডেঙ্গা ইউনিয়ন এলাকার পাহাড়ের লেবুবাগানে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।
১০ নম্বর আহলা করলডেঙ্গা ইউনিয়নের লেবু বাগানের চাষী ও কর্মরত স্থানীয় ১৬ জনসহ শতাধিক রোহিঙ্গা শ্রমিকদের অপহরণ করে নিয়ে যায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। পরে মুক্তিপণ দিলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এদের মধ্যে অনেককে মারধরও করে সন্ত্রাসীরা।
স্থানীয় সূত্র জানা যায়, করলডেঙ্গা পাহাড়ে বৃহস্পতিবার সকালে বাগানে কাজের জন্য যান প্রায় শতাধিক কৃষক-শ্রমিক। এদের মধ্যে রোহিঙ্গা শ্রমিকসহ স্থানীয় কৃষকদের অপহরণের পর তাদের বাড়িতে মুক্তিপণের জন্য খবর দেয় সন্ত্রাসীরা।
কড়লডেঙ্গা চম্পা তালুকদারপাড়ার আবদুল সালামের ছেলে আবুল ফয়েজ, আবুল কালাম, জাবেদুল ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা বিনিময়ে মুক্তি দেয় সন্ত্রাসীরা। এছাড়া নুরুল আমিনের ছেলে শফিউল আলম, রহমত উল্লাহর ছেলে মো. হাসানকে মারধর করে ছেড়ে দেয় তারা।
ভুক্তভোগীরা জানান, মুখোশধারী সাত-আট জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ অস্ত্র মুখে জিম্মি করে লেবুবাগানের শ্রমিকদের হাত-পা বেঁধে মারধর করে। তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল-টাকা নিয়ে নেয়। পরে গাছের সঙ্গে বেঁধে এলাকা খবর পাঠানো হয় মুক্তিপণের জন্য। মুক্তিপণের টাকা দিয়ে অনেকে তাদের হাত থেকে ছাড়া পান।
রোহিঙ্গা আবদুল মান্নান ও মো. জাবেদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা আমাদের মারধর করে ছেড়ে দেয়।’
খবর পেয়ে বোয়ালখালী থানার এসআই মো. দিদারের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে।
পরে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিমের নির্দেশে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন থানার সেকেন্ড অফিসার মিনহাজ। কিন্তু পুলিশ পাহাড়ে পৌঁছানোর আগেই সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
ডিজে