অপহরণ নয়, প্রেমের টানে ঘর ছেড়েছিলেন নিশু

অপহরণ নয় প্রেমের টানেই প্রাইভেকার চালক বায়েজিদ হোসেন মুন্নার কাছে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ছুটে গিয়েছিলেন নিশু। নিশুর পিতার দায়ের করা অপহরণ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে নিশু স্বেচ্ছায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা গিয়েছিলেন। নিশু তার প্রেমিক মুন্নাকে এক প্রকার বাধ্যই করেছিলেন তাকে গ্রহণ করতে।

বুধবার (১০ জুুলাই) ভোরে প্রযুক্তির সহায়তায় চকবাজার থানা পুলিশ নিশু ও তার প্রেমিক মুন্নাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম নিয়ে আসে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চকবাজার থানার ওসি তদন্ত রিয়াজ চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, পরিবারের দায়ের করা অপহরণ মামলায় আমরা তদন্তে নেমে নিশুর অবস্থান শনাক্ত করি ঢাকায়। উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সহায়তায় আমাদের টিম নিশু ও তার প্রেমিক মুন্নাকে ঢাকা থেকে আটক করে আজ চট্টগ্রাম পৌঁছে।

তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় ৮ জুলাই নিশু কোচিং থেকে বের হয়ে মুন্নাকে ফোনে বলেছিল ‘আমি ঘর থেকে বের হয়ে গেছি, তোমার কাছে চলে আসতে চাই। নিশুর এই প্রস্তাবে মুন্নাও রাজি হয়। নিশু চকবাজার থেকে সিএনজিচালিত ট্যাক্সি নিয়ে একে খান গেট থেকে ইউনিক পরিবহনের বাস যোগে ঢাকা যাত্রাবাড়ি গিয়ে নামে। যাত্রাবাড়ি থেকে নিশুকে গ্রহণ করেন।’

নিশু ও মুন্নাকে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) আদালতে পাঠানো হবে। তাদের ব্যাপারে আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে জানিয়েছেন ওসি রিয়াজ।

উল্লেখ্য, ৮ জুলাই সকাল আটটায় পাহাড়তলী টিকিট প্রিন্টিং রেলওয়ের কলোনি থেকে চকবাজার রেটিনা মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ে আসে তাহমিনা আক্তার নিশু। সাথে তার মাও ছিলেন। কোচিং শেষে মা অভিভাবকদের কক্ষে অপেক্ষমাণ থাকলেও নিশু কোচিংয়ের ক্লাস না করেই বের হয়ে যায়। ছুটির পর সন্তানকে না পেয়ে মা বাসায় জানান। পিতা এসে চকবাজার থানায় অপহরণ হয় এ মর্মে মামলা দায়ের করেন।

পুলিশের তদন্তের শুরুতেই প্রমাণ মিলেছে নিশু স্বেচ্ছায় কোচিং সেন্টার থেকে বের হয়েছিল। তার স্বেচ্ছায় এবং স্বাভাবিক গতিবিধিতে পুলিশের তদন্তও সহজ হয়। তারই আলোকে পুলিশ ওই রাতেই অবস্থান মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছিল। শতভাগ নিশ্চিত হয়ে পরদিন ঢাকায় টিম পাঠায়। ঢাকার কেরানিগঞ্জ থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।

এফএম/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!