অপহরণের পাঁচ দিন পর বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের অপহৃত ১৯ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে এক জেলেকে জলদস্যুরা গুলি করে হত্যা করে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাত ৭টায় এ তথ্য জানান কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফয়জুল আজিম নোমান।
উদ্ধার ১৯ জেলে হলেন—উপজেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের আজিম উদ্দিন সিকদার পাড়ার মনছুর আলম, জমির বাপের পাড়ার শাহ আলম, রুহল আমিন ও নয়ন, চাটি পাড়ার নাছির উদ্দীন, শাহজাহান, আব্বাস উদ্দিন ও তৌহিদ, কাইসার পাড়ার ওরফে শুনাইয়া ও রেজাউল করিম, ফরিজ্যার পাড়ার গিয়াস উদ্দিন, মেহেদি হাসান, সাকিব, ইদ্রিস ও সায়েদ, কুইলার পাড়ার সাগর, দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের মশরফ আলী বলির পাড়ার ওরফে কালু ও রুবেল। তবে নোয়াখালীর এক জেলের নাম জানা যায়নি।
ওসি ফয়জুল আজিম নোমান জানান, গত বুধবার গভীররাতে কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেলে জেলেরা সাগরে মাছ ধরার সময় ট্রলারসহ জেলেদের অপহরণ করেছিল জলদস্যুরা। পুলিশের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকায় জলদস্যুরা সাগরে জেলেদের ছেড়ে দেয়। বিকালে জেলেদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর থানায় আনা হয়।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় নিহত জেলে মোকাররম হোসেন (৪৫) কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের আজিমুদ্দিন সিকদারপাড়ার বাসিন্দা।
ফিশিং ট্রলার মালিক চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার মুহাম্মদ ইসমাঈল জানান, তার ফিশিং বোটে ২১ জন জেলে নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়। মাছ ধরার একপর্যায়ে গত বুধবার রাতে সশস্ত্র জলদস্যুরা হামলা চালায়। এতে মাঝি মোকাররম গুলিবিদ্ধ হন।
জয়নাল উদ্দিন জানান, ঘটনার পর জলদস্যুরা তাঁকে ও গুলিবিদ্ধ মাঝি মোকাররমকে আরেকটি ট্রলারে তুলে দিয়ে অন্য জেলেসহ ট্রলারটি অপহরণ করে নিয়ে যায়। মোকাররমকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। এঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা জানান, তাদের জলদস্যুরা বেদম মারধর করেছে। প্রায় সময় অভুক্ত রেখেছিল। উদ্ধার হওয়া জেলেদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) মধ্যরাতে মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুরা মাছ ধরার ‘আল্লাহ দয়া-৩’ নামের ফিশিং ট্রলারে ডাকাতি করে জলদস্যুরা। এ সময় তারা ট্রলারসহ জেলেদের অপহরণ করে।
ডিজে