মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এরইমধ্যে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে সরকারও অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। তবে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পক্ষে ইন্টারনেট ব্যয় বহন করা অনেকটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তাই শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ইন্টারনেট প্রদান অথবা স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট প্যাকেজ দেয়া যায় কিনা সেই বিষয়ে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সোমবার (৬ জুলাই) আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপকমিটির আয়োজনে ‘বর্তমান বৈশ্বিক সংকটকালে শিক্ষা বিষয়ে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। আমরা আশা করি মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো বিষয়টি ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখবেন।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রতিটি সংকটই আমাদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে দেয়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে হলে তথ্য ও প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তাই আমাদের হয়তো কিছুদিনের মধ্যে ডিজিটাল শিক্ষা কার্যক্রমে যেতে হবে। করোনা আমাদেরকে এক্ষেত্রে এগিয়ে দিয়েছে। আমরা এখন অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম, অফিস-আদালতে মিটিং এবং দৈনন্দিন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। অল্প সময়ের মধ্যে আমরা সেই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে নতুন এই বাস্তবতার সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে উঠবো। করোনাপরবর্তী সময়েও স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চলবে।’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সময়ের টিউশন ফি প্রদানের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অভিভাবক সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘একেবারে টিউশন ফি না দিলে প্রতিষ্ঠান তাদের শিক্ষকদের বেতন দিতে পারবে না। তাই দুই পক্ষকেই কিছুটা ছাড় দিয়ে মানবিক হতে হবে।’
এমএহক