চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানার দেওয়ানহাট মোড়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ ও হয়রানির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন চালকরা। বিক্ষোভ চলাকালে অভিযান চালিয়ে বাসদ ও ছাত্র ফ্রন্টের নেতাসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন— বাসদ চট্টগ্রাম জেলার ইনচার্জ ও সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক আল কাদেরী জয়, ছাত্র ফ্রন্ট নেতা মিনহাজ উদ্দিন এবং রিকশাচালক মো. রুকন।
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছেন, পুলিশ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে ও মাইক ভাঙচুর করে। পরে তিনজনকে আটক করে নিয়ে যায়।
সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব মনির হোসেন বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি করতে গেলে পুলিশ হঠাৎ ব্যানার কেড়ে নেয়, মাইক ভাঙে এবং আমাদের নেতাসহ তিনজনকে আটক করে।’
তবে ডবলমুরিং থানার ওসি কাজী রফিক আহমেদ বলেন, ‘সমাবেশের কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। হঠাৎ করে রাস্তায় নেমে গাড়ি চলাচলে বিঘ্ন ঘটানো হয়। পরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। এ কারণে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।’
সম্প্রতি একের পর এক দুর্ঘটনা ও ট্রাফিক বিশৃঙ্খলার জন্য দায়ী করা হচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশাকে। গলির রিকশা এখন প্রধান সড়কেও চলাচল করছে। ধীরগতির এ যানগুলো দ্রুতগতির গাড়ির সঙ্গে মিশে গিয়ে সিগন্যাল পয়েন্টে যানজট সৃষ্টি করছে। প্রতিদিনই এসব রিকশার কারণে দুর্ঘটনা ও হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
সর্বশেষ ১৮ এপ্রিল রাতে চকবাজার থানার কাপাসগোলা এলাকায় একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা উল্টে হিজড়া খালে পড়ে। রিকশায় থাকা দুই নারী প্রাণে বাঁচলেও তাদের কোলে থাকা ৬ মাসের শিশু সেহরিজ নিখোঁজ হয়। পরদিন সকালে চাক্তাই খাল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় নগরজুড়ে শোক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর নগর জুড়ে শুরু হয় ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান। কয়েকদিনের মধ্যে প্রায় চার হাজার রিকশা জব্দ করে সিটি করপোরেশন ও ট্রাফিক বিভাগ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও বিক্ষোভ করছেন চালকরা।
জেজে/ডিজে