অছাত্রদের ছাড়তে হবে চবির হল, পাঁচ বছর পর আসন বরাদ্দের নতুন উদ্যোগ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রতিটি আবাসিক হল থেকে অছাত্র ও বহিরাগতদের বের করে নতুন করে আসন বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।নিয়মানুযায়ী প্রতিবছর আসন বরাদ্দ দেয়ার কথা থাকলে পাঁচ বছর পর হলে আসন বরাদ্দের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আসন বরাদ্দের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

বিশ্বিবদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) রাতে বিভিন্ন হলের প্রভোস্টদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সব হল থেকে অছাত্র ও বহিরাগতদের বের করে নতুন করে আসন বরাদ্দের সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শীঘ্রই এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে আরও জানা যায়, সর্বশেষ ২০১৭ সালের জুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে আসন বরাদ্দ দেয় তৎকালীন তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী প্রশাসন। ওই সময় ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষ থেকে শুরু করে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২০১৬-১৭ ও ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের (প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ) শিক্ষার্থীদের ২৫ শতাংশ আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়।

বর্তমানে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা মাস্টার্সে অধ্যয়নরত। বাকি শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবন শেষ করে হল ছেড়েছেন। সে হিসেবে বর্তমানে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা হাতেগোনা কয়েকজন।

২০১৭ সালের পর ২০১৯ সালের মার্চে হলগুলোতে পুনরায় আসন বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এ সময় আবেদন ফরম কেনেন প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী। তবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তিন মাস পরে তৎকালীন উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হলে উপাচার্যের দায়িত্ব পান অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর হলগুলোতে আসন বরাদ্দের ভাইভার তারিখ কারণ উল্লেখ না করেই পর পর দুইবার স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এরপর আরও এক দফা আসন বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তি দিলেও তারও ভাইভা হয়নি এখনও পর্যন্ত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বইয়ের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ২৭ হাজার ৫৫০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ১১টি আবাসিক হল ও একটি হোস্টেলে আসন রয়েছে ৫ হাজার ৩০টি। যা মোট শিক্ষার্থীর মাত্র ১৮ দশমিক ২৫ শতাংশ। দীর্ঘদিন ধরে আসন বরাদ্দ বন্ধ থাকায় এই ১৮ শতাংশ আসনেও বৈধভাবে শিক্ষার্থীরা থাকতে পারছে না।

অন্যদিকে উদ্বোধন হওয়ার ৬ মাসেও চালু করা হয়নি ৩১২ আসন বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আবাসিক হলে নতুন করে আসন বরাদ্দের সিদ্ধান্ত আসছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসন বরাদ্দ দেওয়া হবে।

এমআইটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!